মুহাম্মদ শাজাহান, মহেশখালী উপজেলা প্রতিনিধিঃমহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের ফকিরজুমপাড়া গ্রামে আদালতের ১৪৪ ধারার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে জমি দখল করে তাতে ঘর তৈরি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আজগর আলীর পুত্র আব্দু রহিম। এতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। গত ৫ অক্টোবর থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করেছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানান, গত দুয়েকদিন আগে প্রতিপক্ষের লোকজন ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাদীর শাশুড়ী তাতে বাঁধা দেন। এসময় তাকে প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন গালিগালাজ করে হেনস্তা করেন। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখে বাদীর শাশুড়ী সেখান থেকে চলে যান।
এ বিষয়ে ফকিরজুম পাড়া মসজিদ কমিটি ও সমাজের বিশিষ্টজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ফকিরজুমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ওমর ফারুক বিগত ২০০৬ সালে একই এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ইসহাক, জয়নাল আবেদীন ও তাদের বোন হাছিনা বেগম থেকে ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৩০ শতক জায়গা ক্রয় করেন। ২০১৮ সালে মোঃ ওমর ফারুক মারা গেলে স্থানীয় প্রতিবেশী আজগর আলী ও তার সন্তানেরা মিলে জায়গাটি দখল করতে বেশ কয়েকবার চেষ্টা চালায়। সর্বশেষ আজগর আলীর পুত্র আব্দু রহিম বিদেশ থেকে আসার পর থেকে জায়গাটি দখল করে ঘর নির্মাণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ১ সেপ্টেম্বর জায়গাটি জোরপূর্বক দখল করে তাতে ঘর নির্মাণ করতে চাইলে মৃতের স্ত্রী রওজাতুন্নাহার বাদী হয়ে কক্সবাজার এডিএম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ আমলে নিয়ে উক্ত জায়গাতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। ১৪৪ ধারা জারির ২ দিন পর মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দু রাজ্জাকের নির্দেশে এসআই শাহাদাত ও এএসআই আনিসের নেতৃত্বে একটি টিম এসে বিরোধীয় জায়গার কাজ বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে দীর্ঘ এক মাস কাজ বন্ধ থাকে। কিন্তু আদালতের চুড়ান্ত রায় না হওয়ার আগেই প্রতিপক্ষরা আবারো জায়গাটিতে ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছে।
১৪৪ ধারা অমান্য করলে শাস্তির বিধান কি? এমন প্রশ্নের জবাবে মহেশখালী কোর্টের সিনিয়র উকিল এড. নুরুল আলম জানান, ১৪৪ ধারা অমান্যকারীকে পুলিশ বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারবে। দন্ডবিধি অনুসারে যে কোন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দুই বৎসর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদন্ড, জরিমানা বা উভয় প্রকারের শাস্তি দিতে পারে। সুতরাং এসব বিষয়ে জনগণকে সচেতন হতে হবে।
বিষয়টি মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দু রাজ্জাককে জানালে তিনি অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।