ভারতের আসাম আর বাংলাদেশের জকিগঞ্জ সীমান্তে ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সুড়ঙ্গ খুঁজে পেয়েছে ভারতের পুলিশ। এই সুড়ঙ্গটি চোরাচালান, অপহরণসহ নানা অপরাধে ব্যবহার করা হতো বলে ধারণা করছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা। তবে এই বিষয়ে বাংলাদেশের পুলিশের কিছু জানা নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে।
কলকাতা থেকে বিবিসির সংবাদদাতা অমিতাভ ভট্টশালী জানাচ্ছেন, গত রোববার আসামের করিমগঞ্জে একটি গ্রামের একজন বাসিন্দাকে অপহরণ করা হয়।
পরে তার বাড়িতে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। যে নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল, সেটি বাংলাদেশের নম্বর ছিল বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশ।
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে একজন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যেই অপহৃত ওই ব্যক্তি মুক্তি পেয়ে এসে সুড়ঙ্গের বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ গিয়ে সুড়ঙ্গটি শনাক্ত করে।
পুলিশ বলছে, সুড়ঙ্গটি বন্ধ করে দেয়ার জন্য তারা ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফকে জানিয়েছে। তারা এখন সেটি বন্ধ করার কাজ করছে।
আসামের করিমগঞ্জের যে এলাকায় এই সুড়ঙ্গটি পাওয়ার কথা জানিয়েছে ভারতের পুলিশ, তার অন্যপাশেই বাংলাদেশের জকিগঞ্জ উপজেলা।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মোঃ আব্দুন নাসের বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কোন সুড়ঙ্গ পাওয়ার তথ্য তাদের জানা নেই। এরকম কোন সুড়ঙ্গের অস্তিত্ব আছে বলেও তারা শোনেন নি।
তবে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তে কোন সুড়ঙ্গ পাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও দুই দেশের সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় সুড়ঙ্গ খুঁজে পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
২০১৭ সালে মেঘালয়ের তুরা সেক্টরে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে ৫০ ফুট লম্বা একটি সুড়ঙ্গের খোঁজ পেয়েছিল বিএসএফ। পরের মাসেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের ফতেপুর সীমান্ত চৌকির কাছে একটি অসমাপ্ত সুড়ঙ্গ খুঁজে পাওয়া যায়।
টহলদারি বেড়ে যাওয়ার কারণে পাচারকারী ও অপরাধীরা সীমান্তে এরকম সুড়ঙ্গ খুঁড়ে তাদের কর্মকাণ্ড চালায় বলে মনে করছে পুলিশ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আড়াই হাজার মাইল সীমান্ত রয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]