1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:০৯ অপরাহ্ন

২৮ বছরের বিপজ্জনক পণ্য পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরে

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রতিনিয়ত আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে রাসায়নিক ও বিস্ম্ফোরক দ্রব্য। ২৮ বছর আগে আমদানি হওয়া ‘বিপজ্জনক পণ্য’ও পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরে। এখানে আছে জ্বালানি তেলের তিন ডিপো পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। আছে ইস্টার্ন রিফাইনারি। আছে ভোজ্যতেল সংরক্ষণের ৮৮টি টার্মিনাল। ব্যবহারের প্রয়োজনে রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণ করতে হয়- এমন শতাধিক শিল্পকারখানাও আছে চট্টগ্রামে। দেশে রাজস্ব আদায়কারী সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ল্যাবরেটরিও এই বন্দরনগরে। আমদানি-রপ্তানির সুবিধার্থে চট্টগ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে ১৯টি বেসরকারি ডিপো। সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এসব ডিপোর কোনোটিই গড়ে ওঠেনি নীতিমালা মেনে। রাসায়নিক দ্রব্য সংরক্ষণে উদাসীনতা আছে ডিপোগুলোর। স্পর্শকাতর এতগুলো স্থাপনা গড়ে উঠলেও চট্টগ্রামে ফায়ার সার্ভিসের নেই এসব স্থাপনায় রাসায়নিক আগুন নেভানোর সক্ষমতা, যে দুর্বলতা শনিবারের বিএম ডিপোর মারাত্মক অগ্নিকাণ্ডে প্রকাশ হয়ে পড়ল। অনুরূপ দুর্ঘটনায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হতে পারে চট্টগ্রাম।

বড় বিপদের সংকেত :বন্দরে এর আগে কয়েক দফা বিপজ্জনক পণ্যে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। গত মাসেও বন্দরে রাসায়নিকভর্তি কনটেইনারে আগুন লেগেছে। ২০২০ সালের ১৫ জুলাই বিকেলে ৩ নম্বর শেডে আগুন লেগেছিল। ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি গাড়ি সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। রাতভর বন্দরের চেয়ারম্যান ও নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন। রাত ১০টায় বিকট শব্দে বিস্ম্ফোরণ হয়। দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে সরতে গিয়ে একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা আহত হন।

২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল রাতে বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল চত্বরে কনটেইনার খুলে কাভার্ডভ্যানে মিথানলভর্তি ড্রাম তোলার সময় বিস্ম্ফোরণ ঘটে। চারজন শ্রমিক আহত ও সামান্য অগ্নিদগ্ধ হন। একই বছর নাইট্রিক অ্যাসিডভর্তি চারটি কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হলে আতঙ্ক ছড়ায় বন্দরে।

২০২০ সালে আগুন লাগার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন বন্দর পর্ষদের সদস্য মো. জাফর আলম। রিপোর্টে তিনি তখন উল্লেখ করেছিলেন, যে শেডটিতে আগুন লেগেছে, সেখানে ১৯৮৭ সালে আমদানি করা পণ্যও ছিল। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলামে তুলে বিক্রি করতে না পারায় পণ্যগুলো শেডটিতে রাখা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে এখনও পড়ে আছে বিপজ্জনক অনেক রাসায়নিক। এর মধ্যে আছে সালফেট, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, হাইড্রোক্লোরাইড, কস্টিক সোডা, ফার্মাসিউটিক্যালসের কাঁচামাল, রং তৈরির কাঁচামাল, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, পারফিউমারি, ফিক্সিট সিলিকন, অ্যাস্ট্রোজেন, সারফেস অ্যাকটিভ ক্লিনিং। এগুলোর বেশিরভাগই দাহ্য ও বিস্ম্ফোরকজাতীয়। কিছু বিপজ্জনক পণ্য সরানো হলেও বন্দরের পি শেডে এখনও সব ধরনের দাহ্য ও অদাহ্য পদার্থ আছে। যথাযথ নিয়ম না মেনে অনেক রাসায়নিক রাখা আছে বন্দরের বিভিন্ন শেডে।

Facebook Comments
৪ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি