ছিলনা কোন বাধঁ-বাধা। যে-যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই বলেছে কথা। তুই-তরা শব্দের খই ফুটেছে তাদের আলাপচারিতায়। দেখে মনে হয়নি বয়স ফিফটি। স্ত্রী-সন্তানের সামনেই মেতেছে ঝাল-টকে ভরা নানা দুষ্টমিতে । মনের অজান্তেই ফিরে গিছে ৩৭ বছর আগের ক্লাস নাইনে। নাইন মানেই লাইন করা। বন্ধুদের নিয়ে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখা। এমন দুষ্টমির কথাও অকপটে স্বাীকার করেছে তারা।
শুধু কি দুষ্টমি করেছেন ? না – পড়া শোনও করছেন , শিক্ষকদের সম্মান করেছেন, শিক্ষকের বেত্রাঘাতের স্থান জান্নাতে যাবে এমন বিশ্বাসও করেছেন। মুরুব্বিদের দেখলে রাস্তা ছেড়ে হেটেছেন। আজ এরাই দেশের বড় বড় জায়গায় চাকুরি করছেন। এই ৮৬ ব্যাচ শিক্ষার্থীদের থেকে সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষক ,উকিল, সাংবাদিক, ব্যাবসায়ী, পুলিশ, রাজনৈতিক ও আমেরিকা, লন্ডন, কানাডা প্রবাসী।
৬ মাস আগে থেকেই ফেসবুক আর মোবাইল নাম্বারে কথা বলে একজন আরেক জনকে খোঁজে নিয়েছেন। দিনক্ষন ঠিক করে সকল বন্ধুরা দেশ – প্রবাস থেকে একদিনের জন্য ছুটে এসেছেন স্কুল প্রাঙ্গনে । ওই দিন এসএসসি ৮৬ ব্যাচের পদচারনায় রঙিন ফুলে সেজেছে কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়। প্রস্ফুটিত হয়েছে বিদ্যালয় মাঠ আর আঙিনা।
প্রাক্তন এই ছাত্রদের ঘিরে বিদ্যায়ের হলরুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে শাহেদুল আলম শাহেদ ও নাসরিন আক্তার জেসমিন এর যৌথ উপস্থাপনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুলটির বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ মফিউদ্দন আহম্মদ ও তার পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ। বক্তব্য রাখেন আমেরিকা প্রবাসী ৮৬ ব্যাচের ছাত্র মোঃ মাজেদুল ইসলাম। শেষ বিকালে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রেফেল ড্রয়ের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় ৮৬ ব্যাচ বন্ধুত্বের মিলন মেলা।