আগামী মে মাসের মধ্যেই দেশে রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-ভি টিকার ৪০ লাখ ডোজ আসবে বলে জানিয়েছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের (ডিজিডিএ) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।
আজ (মঙ্গলবার) এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সরকার টু সরকার (জি টু জি) চুক্তির মাধ্যমে এই টিকা আনা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছু দেখে রাশিয়ার টিকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী মে মাসের মধ্যে রাশিয়া থেকে ৪০ লাখ টিকা আসছে। শুধু রাশিয়ার জন্য চীনের টিকা পেতেও যোগাযোগ করছে সরকার। আমরা মে মাসের মধ্যে রাশিয়া টিকা পাব এই পরিকল্পানা রয়েছে। এখন রাশিয়ার টিকা অনুমোদন দিয়েছে। পাইপলাইনে চীনের টিাকাও রয়েছে।
‘এই টিকার সমন্ত ডাটা আমরা পেয়েছি। সরকারিভাবে আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের কাছে এটি এসেছে। আমরা ডাটাগুলো দেখেছি। আমার এখানে যারা বিশেষজ্ঞ রয়েছে তার এটি বাচাইবাছাই করেছে। আমাদের পাবলিক হেলথ কমিটি রয়েছে, এটা ১২ সদস্য বিশিষ্ট। আজকে তাদের একটি মিটিং হয়েছে মিটিং এবিষয়ে সবকিছু দেখে সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সুপারিশ দেখে এই টিকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
রাশিয়াসহ পৃথিবীর সাতটি দেশে এই টিকার ব্যবহার চলছে জানিয়ে মাহবুবুর বলেন, ‘এটি বিশ্ব সংস্থা সংস্থা অনুমোদন না দিলেও এটি মানুষের দেহে প্রয়োগ করতে পারব। জরুরি প্রয়োগে আমার অনুমোদন দিয়েছি।’
রাশিয়ার টিকা দেশে উৎপাদনের বিষয় তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কথা বার্তা চলছে। টিকা তৈরি সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকরণ কোম্পানির টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। এগুলো হলো- ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও পুপলার ফার্মাসিউটিক্যালস।
রাশিয়ার টিকা বেসরকারিভাবেও দেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওষুধের ডিজি বলেন, ‘টিকা কার্যক্রম শুধুমাত্র সরকারি পর্যায় থেকে করা হবে। এটা বিনামূল্যে দেয়া হবে। এটি সরকার টু সরকার চুক্তি মাধ্যমে করা হবে।’
এর আগে সকালে এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে কমিটি অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে সুপারিশ করে।
সাধারণত কোনো ওষুধে সাতটি দেশের অনুমোদন থাকলে বাংলাদেশে অনুমোদন দেওয়া হয়।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]