মোঃমাসুদ রানা ,হাবিপ্রবি প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে পরীক্ষা দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (২৪ মে) সকাল ১১ ঘটিকায় দিনাজপুর-রংপুর সংলগ্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।এতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে অংশ নেয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া, স্থগিত পরীক্ষাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ে নেওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণী কার্যক্রম চালুসহ আরো বেশ কিছু দাবি নিয়ে তাঁরা এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে।মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে মাধ্যম করে বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করেছেন শিক্ষার্থীরা। স্বারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে চারটি দাবি জানানো হয়। ১. স্বাস্থ্যবিধি মেনে আটকে থাকা সকল সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্ব-শরীরে গ্রহণ করা হোক। ২. অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খুলে দেয়া হোক।৩. অতিদ্রুত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনা হোক।
৪. সেশন জটের হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হোক।মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মামুন বলেন, গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। আমাদের জীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। লকডাউনে যানবাহনসহ সবকিছু চললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত মার্চ মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সারাদেশে যখন জোরালোভাবে আন্দোলন শুরু হয় তখন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ১৭ মে হল ও ২৪ মে ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষা-কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হবে। কিন্তু আজ আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে রাস্তায় মানববন্ধন করছি। এখন আমাদের ভবিষ্যৎ জীবন অনিশ্চয়তে পরে গেছে। শিক্ষার্থীদের বড় অংশই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। শিক্ষাজীবন শেষে পরিবারের হাল ধরতে হয়। এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দুর্দশা চরমে পৌঁছেছে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। দয়া করে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে সবার স্থগিত পরীক্ষা গুলো দ্রুত নিন।এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ড.বিধান চন্দ্র হালদার বলেন, ” আমরা শিক্ষামন্ত্রনালয়ের দিকে তাকিয়ে আছি। তারা প্রজ্ঞাপন দিলেই আমরা অতি অল্প সময়ের মাঝে ডীন কমিটির মিটিং এ বসে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। মন্ত্রানালয় যদি স্ব-শরীরে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করে তবে স্ব-শরীরে পরীক্ষা নেয়া হবে। অন্যথায় যদি অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করে তবে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা যাতে লেখাপড়ার মধ্যেই থাকে। কারণ আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যাশা করছি দ্রুতই একটি সিদ্ধান্ত আসবে “।
৩১ views