লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের দেশে যেখানে ৪০ পেরোতেই নিজেকে বুড়ো ভাবতে শুরু করেন নারীরা। সেখানে ভারতের সেরা ধনী আম্বানী পত্নী ৫৭ বছরের নীতা আম্বানি আবেদনময়ী নতুন রূপে হাজির হেয়েছেন সবার সামনে। আর এজন্য ১৮ কেজি ওজন কমিয়েছেন নীতা আম্বানি। তার এই ওজন কমানোর রহস্য জানার আগ্রহ এখন সবার। নীতা আম্বানি ওজন কমানোর অনুপ্রেরণা তার ঘরেই রয়েছে। কয়েক বছর আগে মুকেশ-নীতা আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত ওজন কমিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন। সেভাবেই ওজন কমিয়েছেন নীতা আম্বানি নিজেও। ১৮ কেজি ওজন কমানোর পর তাকে দেখে মনে হচ্ছে ওজনের সঙ্গে বয়সটাও যেন অর্ধেক কমে গেছে নীতা আম্বানির। চেহারার আমূল পরিবর্তনে অনেকেই চমকে যান এখন।
ওজন কমানোর বিষয়ে নীতা আম্বানি জানান, আসলে সন্তান যা করে, মাও তাই করে। অনন্ত যখন ডায়েট করছিল, তখন ও অনেক কিছুই খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তখন আমিও ওর সঙ্গে ডায়েট করেছিলাম। নীতা আম্বানির কথায়, ‘ডায়েটে থাকাকালীন অনন্ত যা কিছু খেত, আমিও তাই খেতাম। ও যখন হাঁটতে যেত, আমিও যেতাম। ও যখন শরীরচর্চা করত আমিও করতাম। ওই আমার অনুপ্রেরণা, ওর মতো করে সবকিছু করতে গিয়ে আমারও ওজন কমে। যদিও আমরা এখনও স্থুলতার সঙ্গে লড়াই করে চলেছি। নীতা আম্বানি আরও জানান, তিনি নিয়মিত দু’গ্লাস করে বিটরুটের রস খাওয়া শুরু করেন। বিটরুটের রস কেবল একটি ক্লিনিজিং এজেন্ট হিসাবেই কাজ করেনা বাড়তি মেদ অপসারণেও সহায়তা করেছিল।
ফিগার ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বেশি করে ফল, শাকসবজি, বাদাম তিনি। বাইরের খাবারের চেয়ে বাড়ির খাবার পছন্দ করেন বলেও জানান নীতা।
ডায়েট ছাড়াও নিয়মিত নাচেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে তাদের ছেলে মেয়ের বিয়েতে বলিউডের সব মেগা স্টারদের পেছনে ফেলে তার নাচই সবার নজর কেড়েছে। আর এই নাচও তাকে ফিট থাকতে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করেছেন বলে জানিয়েছেন নীতা আম্বানি।
বিজনেস টাইকুন মুকেশ আম্বানির স্ত্রী, নিজেও সফল ব্যবসায়ী, সঙ্গে তিন সন্তানের মা নীতা আম্বানি অনেকের কাছেই একজন অনুপ্রেরণা।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]