রেজিঃ নং ডিএ ৬০০৯ | বর্ষ ১৪ | ৪ পৃষ্ঠা ৩ টাকা || বুধবার | ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
৮ মাসেও ধরা পড়েনি শৈলকুপার প্রতারক লুসান
মোঃ আতিকুর রহমান শৈলকুপা ঝিনাইদহ প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ নাছরিন আক্তার নামে এক নারী হিজড়াকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে ১৯ লাখ টাকা আত্মসাত মামলার আসামী ৮ মাসেও গ্রেফতার হয়নি। এ নিয়ে মামলার বাদী ক্ষোভ প্রকাশ করে ন্যায় বিচার দাবী করেছেন। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার বিজুলিয়া গ্রামের লুসানুর রহমান (লুসান) নামে এক যুবক বিয়ের অভিনয় করে নাছরিন আক্তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর থেকে তিনি বিয়ে অস্বীকার করেন। এই মামলায় লুসানের পিতা খাসিয়ার রহমান ও মা দিপিকা বেগমও আসামী হলেও তারা জামিনে আছেন। গ্রেফতারী পরোয়ানা শৈলকুপা থানায় আসার পর ৮ মাসেও আসামী লুসান গ্রেফতার হয়নি। মামলার বাদী অভিযোগ করেন, প্রতারক লুসান শৈলকুপা ও ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান, অথচ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে না। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, গত ৬ এপ্রিল মানিকগঞ্জ সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট-২ আদালত থেকে এই আদেশ জারী করা হয়। মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে নারী হিজড়া নাছরিনের সঙ্গে পরিচয় হয় শৈলকুপা উপজেলার বিজুলিয়া গ্রামের খাসিয়ার রহমানের ছেলে লুসানের। লুসান তখন তেজগাঁও পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিল। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারী নোটারি পাবলিকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্যে তাদের বিয়ে হয়। এজাহারে বাদীর ভাষ্যমতে বিয়ের আগে ও পরে স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে লুসান ব্যবসার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে আরো ৪ লাখসহ সর্বমোট ১৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পর লুসান স্ত্রী নাসরিনকে এড়িয়ে চলে। টাকার জন্য ঘুরতে থাকলে লুসান বিভিন্ন সময় হুমকি ধামকি ও সে কোন টাকা নেয়নি বলে অস্বীকার করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে নাছরিন স্বামী লুসানের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের আদালতে ৪২০, ৪০৬ ও ১০৯ ধারায় মামলা করেন, যার মামলা নং সিআর-১৪৭। শৈলকুপার মনোহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, লুসানের সঙ্গে নারী হিজড়া নাছরিনের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের সুত্রে বিজুলিয়া গ্রামে দীর্ঘদিন সংসার করেছে নাসরিন।এ বিষয়ে নাসরিন ও তার পরিবার অনেকবার আমার কাছে এসেছিল, তাদেরকে আমি আইনী আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছি। শৈলকুপা থানার ওসি রফিক জানান, আসামী গ্রেফতারের জর্য আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা চালাচ্ছি, কিন্তু পলাতক থাকায় পায়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে বাদীর কাছে যদি আসামীর অবস্থানের নির্ভুল কোন তথ্য থাকে তবে আমরা অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]
Copyright © 2024 দৈনিক শিরোমনি | shiromoni.com. All rights reserved.