দৈনিক শিরোমণি ডেস্ক রিপোর্ট :রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের যোগ্য বিবেচিত না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ ও এবি পার্টির নেতারা। দলগুলোর নেতারা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। সে কারণে তাঁদের বাদ দিয়ে দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে দলগুলোকে নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ছাড়া কোনো দলের দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। নিবন্ধনের জন্য এবার ৯৩টি দল আবেদন করেছিল। যাচাই–বাছাই শেষে আজ রোববার নির্বাচনের কমিশনের বৈঠকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নামের দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না) প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। তারা তাদের পছন্দমতো দলকে নিবন্ধন দিচ্ছে। পছন্দ না হলে দিচ্ছে না।’ তিনি বলেছেন, যে দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে, তারা কারা, কে কে আছেন, সে সম্পর্কে সবাই জানেন।
নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার পর নির্বাচন কমিশন থেকে নাগরিক ঐক্যের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয় উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছে, আমরা পরীক্ষায় পাস করেছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত কিছু বলা হয়নি। এখন গণমাধ্যম থেকে দেখ দেখা যাচ্ছে, দুটি দলকে তারা নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের দল এর মধ্য নেই। আমাদের ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’
চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, তাঁরা এখন মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। কঠোর পরিশ্রম করছেন। তাঁরা যেন রাজনীতিতে ভালোভাবে সক্রিয় থাকতে না পারেন, সে লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।