রাকিব হাসান, মাদারীপুর প্রতিনিধি।
অসংখ্য প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলার আসামি ফরিদপুরের লিটন শিকদার অবশেষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের প্রতারণার পাশাপাশি সাইবার অপরাধের সঙ্গেও জড়িত লিটন শিকদার এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন। জেলার ভাঙ্গা উপজেলার একটি ভাড়া বাসা হতে সোমবার ভোরে লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৮ (সিপিসি-২) এর কমান্ডার দেবাশীষ কর্মকার নিশ্চিত করেছেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের সিদ্দিক শিকদারের ছেলে লিটন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি করে আসছিলো। অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়লেন তিনি।
র্যাব কর্মকর্তা দেবাশীষ কর্মকার বলেন, ‘সোমবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে ভাঙ্গা উপজেলা সদরে থানার সন্নিকটে একটি ভাড়া বাসা থেকে লিটন শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও চাঁদাবাজি মামলার চারটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এসব মামলায় সে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল।
দেবাশীষ কর্মকার আরও জানান, ফরিদপুর, খুলনা ও পাবনা জেলায় চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকি, সাইবার অপরাধসহ প্রায় ডজনখানেক মামলা রয়েছে লিটন শিকদারের বিরুদ্ধে। ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে অপপ্রচার করে ব্ল্যাকমেইলিং এবং গ্রামের সহজসরল অনেক মানুষের সঙ্গে সরাসরি প্রতারণার অভিযোগে ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনে দায়েরকৃত মামলার আসামি তিনি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে দুই ডজনের বেশি সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।
এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা উপজেলার চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান বলেন, স্থানীয়দের কাছে প্রতারক ও ছদ্মবেশী অপরাধী হিসেবে পরিচিত লিটন শিকদার এলাকার মানুষকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নিজেকে তিনি একটি পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
জানা গেছে, ডিজিটাল অ্যাক্ট আইনে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার লিটন শিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় সিআইডির নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।