সরোজমিনে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায় শিক্ষার্থী-কৃষকসহ কয়েকজনকে।খিদিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মো:সামির বলে,কয়েক দিন আগে তার এক সহপাঠী সাঁকো থেকে খালে পড়ে আহত হয়।এর পর থেকে ভয়ে ভয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।পূর্ব বুড়দিয়া গ্রামের কৃষক ইমান আলীকে তাঁর জমিতে যেতে হলে দুই কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।যে কারণে ভেবেছিলেন সেতু নির্মাণ হলে যাতায়াত সহজ হবে।তিনি জমিতে চাষ করা লাউ মাথায় নিয়ে সাঁকো পার হয়ে এসে বলেন,বয়স হয়েছে তো! তাই দীর্ঘ পথ ঘুরতে চান না। বাঁশের সাঁকো পার হতে বুক কাঁপে।পশ্চিম বুড়দিয়া গ্রামের অটোরিকশাচালক আরিফ হোসেন বলেন,সেতু নির্মাণ হওয়ায় নিজের অটোরিকশা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন ভেবে খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু সংযোগ সড়কই হয়নি দীর্ঘদিনেও।বাধ্য হয়ে অন্যের গ্যারেজে ভাড়া দিয়ে অটোরিকশা রাখতে হচ্ছে।গাওদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: শহীদুল ইসলাম বলেন,বিষয়টি তিনি সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।সেখান থেকে দ্রুতই সংযোগ সড়ক তৈরির আশ্বাস মিলেছে।উপজেলা পিআইও মোসা:সাজেদা সরকার বলেন,সেতুটির কাজ এখনও চলমান।সংযোগ সড়ক তৈরি করতে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।