রাকিবুল হাসান, শ্যামনগর: যেকোনো ধরনের প্রাকৃতিক উৎস থেকে সকল প্রকার মাছের রেনু বা পোনা সংগ্রহের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় তথা সরকারের স্পট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।দেশীয় এবং সামুদ্রিক যাবতীয় মাছের বংশ বিস্তারের বাধা দুরীকরের এমন পদক্ষেপ।যাতে পরিনত আকৃতির লাভের পর প্রজনন সক্ষমতার সুযোগে নন নদী সমুহ মাছের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে।যার পেক্ষিতে প্রাকৃতিক ঊৎস থেকে মাছের রেনু সংগ্রহে সরকারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে বঙ্গপোসাগরে তীরবর্তী নদ নদীতে জাল ব্যবহার করে জেলেদের নিরুৎসাহিত করা হয়।সরকাকি এ নিষেধাজ্ঞা না মেনে অধিকাংশ জেলে বড় মাছ শিকারের জন্য জাল দড়া নিয়ে সুন্দরবন বা সুন্দরবন সংলগ্ন নদ নদী সমুহে দীর্ঘকাল ধরে বংশ পরস্পরায় মাছ শিকার করছে।তবে সাস্প্রতিক সময়ে এক শ্রেনীর অতি মুনাফালোভী জেলে সুন্দরবন সংলগ্ন নদ নদী সমুহ থেকে ভাঙান পায়রা পারশে ভেটকি লুবো বাগদা হরিনা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের রেনু শিকার শুরু করেছে।মুলত লোকালয়ে গড়ে ওঠা চিংড়ি ঘের সমুহে এসব মাছের রেনু মোটা দামে বিক্রি করে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা অর্জনের সুযোগ থাকায় দিনকে দিন রেনু শিকারী এমন জেলেদের সংখ্যা বেড়েই চলছে।স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করেই দেদারছে বনবিভাগের সাথে গোপন আতাতের মাধ্যমে কপোতাক্ষ খোলপেঠুয়া ও শিবসা নদী হয়ে এসব রেনুর চালান পাটকেল ঘাটাও কাশিমাড়ী এবং আশাশুনির নিদিষ্ট ঘাট সমুহে পৌছায়।তথ্য রয়েছে শুধু শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ঘাট এলাকায় প্রায় প্রতিদিন ৫/৭টি ট্রলার থেকে কোটি কোটি পারশের রেনু কেনা বেচা হয়।অনুসন্ধানে তথ্য জানা গেছে রেনু শিকারী জেলেরা পায়রা ভাঙান বাগদা হরিনা কিংবা পাঙ্গাশ টেংরা মাছের রেনু লোকালয় সংলগ্ন পাশ্ববর্তী নদ নদী থেকে সংগ্রহ করলেও পারশে মাছের রেনুর জনে্যই মুলতো তারা গভীর যায়।যে কারনে তারা ইজ্ঞিন চালিত নৌজান ব্যবহার করতে বাধ্য হয় যাতে করে শিকারকৃত রেনু নিয়ে নির্ধারিত সময়ে লোকালয়ে ফিরতে পারে।রেনু শিকার কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানাগেছে পারশে মাছের কোটি কোটি রেনু পোনা সমুহ দলবদ্ধ ভাবে চলাচল করে।এসময় ব্যবহার নিষিদ্ধ বিশেষ আকৃতির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র বিশিষ্ট নেট জাল ব্যবহার করে শিকারী জেলেরা দলবদ্ধ ঐ রেনু সমুহকে পাকড়াও করে পরবর্তীতে বেছে বেছে তারা পারশে মাছের রেনু সমুহ রেখে বাকী রেনু নদীর চরের মধ্যে ফেলে দেয় তাতে আরো কোটি কোটি রেনু নষ্ট হয় স্থানীয় ঘের মালিককেরা জানান স্বল্প সময়ের মধ্যে দুূতু বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি বতর্মানে দামও চড়া হওয়ায় তারা চিংড়ি ঘেরে পারশে মাছের রেনু পোনা ছাড়ে।পারশে রেনু পোনার চাহিদার কারনে যোগান নিচিন্ত করতে কিছু কিছু জেলে ইনজ্ঞিন চালিত নৌকা নিয়ে সুন্দরবনের গভীরে থেকে পারশের রেনু সংগ্রহ করে থাকে।নাম প্রকাশের না করার সর্তে পারশে মাছের রেনু শিকারের সাথে জড়িত ৩/৪জন জেলে জানান তারা বনবিভাগকে ম্যানেজ করে সুন্দরবনে যেয়ে পারশে মাছের পোনা সংগ্রহ করে।সে জন্য তাদের কে ট্রলার বা ইনঞ্চিন চালিত নৌকা কে বড় অংকের টাকা দিতে হয়।পরিবেশ নিয়ে কাজ করা মোহন কুমার বলেন এভাবে যথেচছা রেনু শিকারের কারনে ক্রমেই নদ নদীতে মাছের আকাল দেখা দেবে তাই সরকারি নীতির স্পট বাস্তবায়ন অতিজরুরী।তিনি আরো বলেন পারশে মাছের রেনু শিকার করতে যেয়ে অন্যান্য প্রজাতির আরো কোটি কোটি রেনু ধংবস হচ্ছে। এখনই যদি সাগর থেকে সব ধরনের রেনু শিকার বদ্ধ না করা যায় তবে নিকট ভবিষ্যতে নদ নদীতে আর সাগর মাছের পরিমান তুলনামূলক ভাবে কমে যাবে আমি মনে করি।এবিষয়ে উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকতার সাথে সেল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন প্রাকৃতিকর উৎস থেকে রেনু পোনা সম্পর্ন বেআইনী।পারশে রেনু পোনা শিকার করতে যেয়ে আরো কোটি কোটি অন্য প্রজাতির মাছের রেনু ধবংস হয় তাই বনবিভাগকে আরো দায়িত্বশীল হয়ে সুন্দরবন সংলগ্ন থেকে পারশে মাছের রেনু শিকার আটকাতে হবে। তিনি আরো জানান এধরনের রেনু শিকারের বিরুদ্ধে ১৯৫০সালের একটি আইনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
সম্পাদক:সাহিদুর রহমান
অফিস:২৭/১১/২, তোপখানা রোড, পল্টন মোড়,ঢাকা -১০০০।
ফোন: ০১৯১১- ৭৩৫৫৩৩ ই- মেইল : [email protected], [email protected]