বিজয়ের মাসে শুরু হয়েছিল ” চা শ্রমিকদের সেবক” সংগঠনটির প্রাথমিক যাত্রা এবং পর্যায়ক্রমে প্রতি মাসেই সংগঠনটি একের পর এক সামাজিক কাজ করে মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
ইতিপূর্বে ১১ই ডিসেম্বর ২০২২ শ্রীমঙ্গলে ২ টি চা বাগানে এবং ১৭ই জানুয়ারী ২০২৩ সিলেটের ৪টি চা বাগানের অসহায় শীতার্ত চা শ্রমিকদের মধ্যে উষ্ণতার পরশ বুলিয়ে দিতে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছন সংগঠনের সদস্যরা।
এ সময় যে সকল উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উদ্যোক্তা – লিটন মুন্ডা, পরিচালক – শ্রী প্রসাদ চৌহান, বালিশিরা ভ্যালির ভ্যালি পরিচালক- রুপম তাঁতী , অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক – রুপম মাল, সাংবাদিক বাবলু তন্তুবায়, শচীতনয় গৌরচন্দ্র দাস, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক -রানা রিকিয়াশন, প্রতিমা মুন্ডা, সেতু আক্তারসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সংগঠনের প্রতি অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুপম মাল বলেন – “আপনাদের মতো সচেতন মোহলের সহযোগিতায় স্কুলের সকল শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলা সম্ভব।
স্কুল গড়ে তুলা সহজ বিষয় কিন্তু এর রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত কঠিন। সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি স্কুলকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে সক্ষম হবো এবং এখান থেকেই সুশিক্ষিত সমাজ গড়ে তুলতে পারবো,,
“চা শ্রমিকদের সেবক” মূলত একটি অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংগঠনে যুক্ত প্রত্যেক সদস্যদের কাছ থেকে তাদের প্রতি মাসে আয়ের উৎস থেকে মাত্র এক দিনের মজুরির টাকা প্রদানের মাধ্যমে অসহায় চা শ্রমিকদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া এবং লক্ষ্য হচ্ছে, শিক্ষার হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে আর্থিক সহায়তা ও শিক্ষা উপকরন বিতরন,গৃহহীনদের গৃহ নির্মান ও সংস্কার করা, চিৎকিসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান,প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাদ্য সহায়তা ও বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আত্ম কর্মসংস্থানমুলক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ করা।