খাদেমুল ইসলাম,পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে’র দেবীগঞ্জ উপজেলায় সাংবাদিক মো; লালন সরকারের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যে প্রণীত ভাবে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮- মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে দেবীগঞ্জ বিজয় চত্বরে এই মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য গত (২২-মার্চ) উপজেলার গজপুরি খাঁপাড়া, এলাকার বাসিন্দা মোঃ আব্দুস সাত্তার এর মেয়ে মোছাঃ বন্যা আক্তার (১৭) এর অপহরণের খবর পেয়ে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সদস্য ও দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার দেবীগঞ্জ প্রতিনিধি লালন সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে থাকে। এ সময় মোছাঃ বন্যা আক্তার, ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, সকাল দশটা ত্রিশ মিনিটে দেবীগঞ্জ কলেজ থেকে রিমন ইসলাম তাকে জোরপূর্বক তুলে এনেছে। এদিকে রিমনের ৯ মাস বয়সের এক কন্যা সন্তান ও স্ত্রী আছে। রিমনের স্ত্রী ও শশুর বাড়ির লোকজন তাদের দেবীগঞ্জ ব্রিজের পাশ থেকে আটক করে নিয়ে যায়।কলেজপাড়া পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডে। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মশিউর রহমান মোর্শেদ বাবু সহ স্থানীয় কয়েকজন মিলে তাদের পুলিশে সোপর্দ না করে জোর পূর্বক বাড়িতে আপোস শুরু করেন। কিন্তু আপোস শেষ হওয়ার আগেই রিমন সালিশি বৈঠক থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে বন্যা আক্তার অজ্ঞান হওয়ার ভান করে। আবার রিমনের বর্তমান স্ত্রী ও নবজাতক সন্তানের জন্য সালিশি বৈঠকে তেমন কোনো আলোচনা না হওয়ায় বন্যার পরিবারের লোকজনকে স্থানীয়রা রিমন না আসা পর্যন্ত থাকতে বলেন। ঐ সময় সুযোগ বুঝে সাংবাদিক লালনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে কাউন্সিলর মোর্শেদ বাবু। সাংবাদিক লালন সরকার কে হুমকি দেয় বন্যার ফুফাতো ভাই মোঃ আবু সামা। সে খুটামারা মির্জা গোলাম হাফিজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি বলেন, আমাদের ভিডিও করেছো বন্যার ক্ষতিকরে হলেও এর প্রতিশোধ নিবো। পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ধারন করেন সাংবাদিক লালন সরকার। অপরদিকে বিচারের পর পরে স্থানীয় কাউন্সিলর সহ স্থানীয় উপস্থিত কতিপয় বিচারকের বিচারিক ক্ষমতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। পরে কাউন্সিলর সহ প্রভাবশালী চক্রটি পুরো ঘটনাটির মোর ঘোরাতে সাংবাদিক লালন সরকার ও তার সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০ হাজার টাকা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে দেবীগঞ্জ থানায়। মামলার বাদী হয় বন্যার পিতা মোঃ আব্দুস সাত্তার। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা। এদিকে সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সাংবাদিক লালন সরকার বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লখ করে ও অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে বিবাদী করে এজাহার জমা দিলেও তা রেকর্ড করেন নি দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ। দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মুঠোফোনে জানান, সাংবাদিক বিরুদ্ধে মামলা নিতে উপর মহলের চাপ আছে। কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া যাবে না। সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মানব বন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেওয়া সাংবাদিকরা। বিষয়টি বিভাগীয় তদন্তের দ্বাবী করেছেন উপস্থিত সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান সহ বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা।