আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচনি ইশতিহারের মাধ্যমে আপনাদের প্রতি যে সব অঙ্গীকার করেছি তা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবো। এর জন্য মহান আল্লাহতাআলার সাহায্য প্রার্থনা করছি। নতুন বরিশাল গড়ার অঙ্গীকার, জয় হোক শেখ হাসিনার।’
এ সময় তিনি ভোটার ও কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জনগণ ও আমার নেতাকর্মী যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
সবশেষে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ৮৭ হাজার ৭৫২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট।
নির্বাচনে মেয়র পদে লড়েছেন ৭ জন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি, বিএনপি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
পৌরসভা থেকে ২০০২ সালের ২৫ জুলাই বরিশাল সিটি করপোরেশনে উন্নীত হয়। ২৫ বর্গকিলোমিটার থেকে বেড়ে এখন এর আয়তন ৫৮ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। বরিশাল সিটির বর্তমান লোকসংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। সিটির প্রথম নগরপিতা হিসেবে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের শওকত হোসেন হিরণ জয়লাভ করেন। এরপর ২০১৩ সালে বিএনপির আহসান হাবিব কামাল এবং ২০১৮ সালে নৌকার প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।