মো: শান্ত শেখ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বিআরটিসি টুঙ্গিপাড়া বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নিম্নমানের ইট দিয়ে ট্রেনিং মাঠ তৈরির অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ও ট্রেনিং সেন্টারটিতে প্রশিক্ষণরত একাধিক প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগের সূত্র ধরে সরজমিন পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পরিদর্শন কালে দেখা যায় বিআরটিসি’র হেড অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহরাব হোসেনের সামনেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফাইম ইন্টারপ্রাইজের শ্রমিকেরা নিম্ন্নমানের ইট দিয়ে প্রশিক্ষণ মাঠ তৈরির কাজ করছেন। প্রকাশ্যে পচা ইট দিয়ে প্রশিক্ষণ মাঠ তৈরির কাজ চললেও অজানা কারণে ডিপোর ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার নীহার রঞ্জন মজুমদারের চোখে কালো চশমা। ভালো ইটের পরিবর্তে পচা ইট ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজার তোলেন ভিন্ন সুর। প্রথমে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ কাজে আমার কোনো হাত নেই, সম্পূর্ণ হিসাব-নিকাশ ও দেখভালের দায়িত্ব হেড অফিসের। পরে এই ম্যানেজার ভোল পাল্টে বলেন, কাজ শেষ হওয়ার পর প্রশিক্ষণ মাঠে আমরা গাড়ি চালিয়ে দেখবো যদি ইট ভেঙে যায় তাহলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ইট পরিবর্তন করতে বলবো। এ বিষয়ে হেড অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. সোহরাব হোসেন সাংবাদিকদের ওয়ার্ক অর্ডার সহ টেন্ডার ডকুমেন্টস (ইস্টিমেট) দেখাতে চাইলেও ম্যানেজার নীহার রঞ্জন মজুমদার তাকে নিষেধ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টুঙ্গিপাড়া বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর একটি সূত্র মানবজমিনকে জানায়, প্রায় ৩৬ লাখ টাকার বরাদ্দ হয়েছে এই ট্রেনিং মাঠ তৈরির জন্য। কৌশল করে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে ম্যানেজার নীহার রঞ্জন মজুমদার ও হেড অফিসের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা যোগসাজশে পচা ইট দিয়ে নামমাত্র কাজ করে অধিকাংশ টাকা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই পচা ইট বিছিয়ে বালু দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, ম্যানেজার নিহার রঞ্জন মজুমদার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া সহ বিভিন্ন ডিপোতে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি গোপালগঞ্জ শহরের তেঘুরিয়ায় পাঁচতলা ফাউন্ডেশন দিয়ে তিনতলা বিশিষ্ট আলিশান বিল্ডিং করেছেন। এছাড়াও তার নামে-বেনামে জায়গা ও বিভিন্ন ব্যাংকে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা রয়েছে।