রাকিব হাসান, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি :
সময়ে সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশি মুখরোচক হয়ে ওঠে। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারা যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই তা আমরা ভুলে যাই। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করি আমরাই। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো মানবিক পুলিশ । যারা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার মতো মানবিক কাজগুলোও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন।সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ভিক্ষুক ও সাধারণত মানুষ এদেরকে যখন
হাসপাতালে নেওয়া হয় সারারাত (নাইট ডিউটি) পেশাগত দায়িত্ব পালনের পরও খোঁজ নিতে হাসপাতালে যাওয়া ও ওষুধ কিনে দেয়ার কাজ কয়জনই বা করার সুযোগ পান।কথাগুলো যার সম্পর্কে বলা হচ্ছে তিনি হলেন বাংলাদেশ পুলিশ মাদারীপুর সদর থানার এএসআই মাসুদ ইকবাল। তিনি করোনা শুরু হওয়া থেকে এ পর্যন্ত মাদারীপুর সদর হাসপাতালে কর্মের মাধ্যমে সেবা দিয়ে আছেন। নিজের জীবন বাজি রেখে সাধারণত মানুষ যেভাবে ভালো থাকে সেই সচেতনতামূলক বানী দিয়ে চলছে। নৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে হাজারো মানুষের ভিড়ে দিয়ে চলছে সেবা। মানুষ যানে হাসপাতাল মানে হলো করোনা রোগিদের স্হান তারপরও মহামারী করোনার সংক্রমন যাতে বেশি না সরিয়ে পরে সেদিকে খেয়ালটা রেখেছেন এএসআই মাসুদ ইকবাল। নিজের টাকা খরচ করে মাস্ক ও হ্যান্ডসেনিটাজার কিনে দিয়েছেন তিনি।
কারও খাবার কেনার টাকা না থাকলে টাকা দিয়ে খাবার কিনে দিয়েছেন তিনি।তাছাড়া হাসপাতালে মধ্যে ঘুরে ঘুরে তিনি সচেতন হওয়ার কথা বলে চলছেন আজও। আপনি ভালো থাকলে আপনার পরিবার ভালো থাকবে আর পরিবার ভালো থাকলে সমাজ ভালো থাকবে এবং সমাজ ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকনে।
আর এই স্লোগানের মধ্যে দিয়ে চলছে তার জীবন সংগ্রাম। তিনি হাসপাতালে থাকা অবস্থায় কোন রুগি সেবা থেকে বঞ্চিত হয় নাই।সাধারণ মানুষেরা বলেন, তিনি পুলিশ না আমাদের একজন ভাই আর তিনি সকলকে ভাই বোনের মতো উপকার করে থাকে। এই পুলিশ ভাই হাসপাতালে আছে বলে আমরা সুচিকিৎসা পাচ্ছি।
আল্লাহ যেন এই পুলিশ ভাইকে নেক হায়াত দান করে।তার মতো যদি সকল পুলিশরা হতো তাহলে সাধারণত জনগণ আস্হা পেতো।
গভির রাতের আধারে বাতি, আলোকিত করলো ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কাওনিবেড়া ইউনিয়নের সেকপুরা গ্রামের কৃতি সন্তান মোঃ মাসুদ ইকবাল। তিনি কর্মরত আছেন মাদারীপুর জেলা পুলিশ (সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক) পদে।
তিনি মানুষের মনে আস্থা পেয়েছেন।তিনি করোনার মধ্যে সকল জনগণকে সচেতন করার লক্ষে হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা নেওয়ার জন্য আসলে তাদেরকে মাস্ক ব্যবহার এবং হ্যান্ডসেনিটাজার আর সাবান দিয়ে প্রতিনিয়ত হাত ধোয়া বলে। এবং অপ্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না যাওয়া জন্য নির্দেশ দেন।
এএসআই মাসুদ ইকবাল বলেন,মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করে খুবই গর্ববোধ করছি।এবং গর্ববোধ করছি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্য হয়ে।যারা এই করোনা মহামারীর দুঃসময় ও মানুষের পাশে থেকে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্য।জনগনের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা অপরিসীম।
পুলিশ মানে জনগনের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করা।আর পুলিশ মানে শত ভয়কে জয় করে মানুষের সেবা করা।পুলিশ মানে নিজে রাত জেগে ঘুম কে বিসর্জন দিয়ে অন্যকে ঘুমের স্বাদ দেওয়া।পুলিশ মানে একাত্তরের জীবনদাতা।পুলিশ মানে ব্যথিত হৃদয়ে মানুষের মাঝে মিশে যাওয়া অংশীদার।পুলিশ মানে জনগনের জানমালের নিরাপত্তার দাবীদার।
পুলিশ মানে করোনাকালে ভয়ে রাস্তায় ফেলা যাওয়া মানুষের লাশের দাফন দাতা।
পুলিশ মানে এই নিজে ঈদে বাড়ি না গিয়ে অন্যকে ঈদের আনন্দ দেওয়া
পুলিশ মানে এই করোনা কালে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌচ্ছো দেওয়া।তার পরে ও আমরা অনেক খুশি আমরা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পেরে।
মানবিক পুলিশ অফিসার, তরুণ প্রজন্মের আদর্শ, সুযোগ্য, উদ্যমী, ন্যায়পরায়ন, মেধাবী, সৎ, সাহসী, কর্মঠ, দক্ষ, নিরহংকার, দানবীর, চৌকস, কর্তব্যপরায়ন, ও আন্তরিক ব্যাক্তিত্ব।
তিনি সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সু সম্পর্ক বজায় রেখে যে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে তার জন্য বড় ও উদার মনের এই পুলিশ কর্মকর্তার অবদান অনস্বীকার্য। পুলিশ বাহিনীতে আপনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সামাজিক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড।