1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০ অপরাহ্ন

দেশে-বিদেশে শাখা খুলতে পারবে ট্রাভেল এজেন্সি

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১

ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর মালিকানা হস্তান্তর এবং দেশ-বিদেশে শাখা খোলার সুযোগ দিতে জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) বিল-২০২০’ বিল পাস হয়েছে।

 

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

 

গত ৭ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে তোলেন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

 

বিলটি পাস হওয়ায় এখন ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সরকারের অনুমোদন নিয়ে দেশে-বিদেশে শাখা অফিস খুলতে পারবে। বর্তমানে কোনো অপরাধের জন্য ট্রাভেল এজেন্সিকে জরিমানার সুযোগ নেই। কর্তৃপক্ষ তাদের নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিল করে। পাস হওয়া বিলে জরিমানার সুযোগ পাওয়া যাবে।

 

ট্রাভেল এজেন্সিগুলো যৌক্তিক কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন করতে না পারলে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে জরিমানা দিয়ে আবেদন করতে পারবে।

 

বর্তমান আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের আবেদন না করলে ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যেত।

 

পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে ছয় মাস জেল, পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রযোজ্য হবে। এতে বলা হয়েছে অনুমোদন ছাড়া কোনও ট্রাভেল এজেন্সি ঠিকানা পাল্টাতে পারবে না।

 

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘আইনটি অনুমোদিত হলে নবায়ন আবেদন দাখিলে বিলম্বের ও অপরাধের জন্য লাইসেন্স বাতিলের পরিবর্তে বিধি দ্বারা নির্ধারিত জরিমানা আদায় পূর্বক সনদ নবায়ন এবং নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে মালিকানা হস্তান্তর দেশে/বিদেশে শাখা অফিস খোলার সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলে ট্রাভেল এজেন্সি হতে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রাপ্তি সহজ হবে। অধিকন্তু সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

 

এদিকে বিলটি জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলো তোলার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির কয়েকজন সংসদ সদস্য বিমানের টিকিট নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন। জবাবে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, সরকার অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

 

জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম বলেন, ট্রাভেল এজেন্সির কাজ হচ্ছে এজেন্টের। সাপ্লায়ার বিমান। বিমানের এজেন্সির জন্য আইন কেন করা হলো? এর প্রয়োজন ছিল না।

 

বিএনপির হারুনুর রশীদ বলেন, ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর স্বার্থ রক্ষার জন্য বিলটি আনা হয়েছে। গ্রাহকদের স্বার্থ যাতে রক্ষা করা যায় সেদিকে নজর দিতে হবে। ঢাকা বিমানবন্দরে মশার উৎপাতে বসা যায় না। কর্মীরা ব্যাট নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ফুটুস ফুটুস করে মশা মারে। ভিআইপ লাউঞ্জগুলোতে বসা যায় না। কে বসবে কে বসবে না কোনও ঠিক নেই। এগুলো মন্ত্রণালয়কে ঠিক করতে হবে।

 

বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, সনদ বাতিল না করে শুধু অর্থদণ্ড দেওয়ার জন্য বিলটি আনা হয়েছে। ৫৩ থেকে ১০০ টি কোম্পানি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এজেন্সিগুলো নিজেরা ক্রেতা সেজে টিকিট বুক করে রাখে। এতে ক্ষতি হয় বিমানের। যে এজেন্সিগুলোর কথা বলা হচ্ছে। সেগুলোর নিয়ন্ত্রক মন্ত্রণালয়। অদক্ষ ব্যবস্থপনার জন্য বিমান লসে। আড়াই হাজার কোটি টাকা দেনা পেট্রোলিয়ান করপোরেশনের কাছে। উড়োজাহাজ কেনা, ইজারা দ্য়েও, ফুড ক্যাটারিংয়ে অনিয়ম হয়।

 

এ সব সমালোচনার জবাবে প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘আমরা অনেক ব্যবস্থা নিয়েছি। জিডিএস সিস্টেম, টিকিট না পাওয়া এগুলো ছিল। আমরা তদন্ত করেছি। কিছু স্টেপ নিয়েছি। যাতে কোনও সমস্যা না হয়। টিকিটিং সিস্টেম যাতে সমস্যা না হয়। ট্রাভেল এজেন্সি, এয়ারলাইন্স অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করেনানাভাইরাসে। অনেক সংকটের মধ্যে চলছে। এখন কেউ বলতে পারবে না টিকিট নেই। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। টিকিটি নেই এটা বলতে পারবে না।’

Facebook Comments
২ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি