মোঃ আবু তাহের নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফানারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আদা ক্ষেতে পচনরোগে দিশেহারা হয়ে পড়েছে শত শত কৃষক। সরেজমিনে গিয়ে ঘুরে দেখা গেছে, আদা ক্ষেতে পচনরোগ ধরে জমির আদাগাছ মরে যাবার উপক্রম হয়েছে। উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের আদা চাষি একরামুল হক জানান , গত বারের চেয়ে এবার বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় আদা ক্ষেতে পচনধরা রোধ করা যাচ্ছে না। একই ইউনিয়নের আদা চাষি খাতের মিয়া বলেন, অনেক আশা করে এবার আদা চাষ করে ছিলাম, কিন্তু আদা ক্ষেতে পচনধরা দেখে আমি একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। সবধরণের চেষ্টা করেও কোনো ভাবে এই পচনধরা রোধ করা যাচ্ছে না। বাহাগিলী ইউনিয়নের মাষ্টার পাড়া গ্রামের আদা চাষি কোহিনুর রহমান, আবু হানিফা, হাশেম আলী, কান্দু মিয়া, আনিছার রহমান, আবদুল জলিল, নিন্দালুসহ আরোও অনেকে একই কথা তুলে ধরেন। দক্ষিণ বড়ভিটা কৃষক মাঠ স্কুলের সদস্য আদাচাষী সাদেকুল, মুকুল ও জামিল হোসেন আদার পচন রোগের নির্মূলের জন্য দক্ষিণ বড়ভিটা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন পরামর্শ প্রদান করেন, প্রতি ১৫ লিটার পানিতে ১০ গ্রাম অপনেন্ট / টিমসেন অথবা টার্বো ২৫ গ্রাম আাদা গাছের গোড়া পর্যন্ত ভিজে দিবেন। এতে আদা পচন রোগ হতে রক্ষা পেতে পারে।
বাহাগিলী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল মজিদ বলেন, গতবারের তুলনায় এবার আদা চাষে আগ্রহী হয়ে অনেকে আদা চাষ করেছেন কিন্তু আদা ক্ষেতে পচনধরায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে আদা চাষিরা। আদাতে পচনধরা রোধ করা না হলে অল্প কিছু দিনের মধ্যে সকলের আদা অচিরে নষ্ট হয়ে যাবে। কোনো ঔষধেই কাজ হচ্ছে না বলে তিনি জানান। বিশেষ করে বাহাগিলী ইউনিয়নের দক্ষিণ দুরাকুটি ঘোপাপাড়া গ্রামের একরামুলের ১ বিঘা, খাতের উদ্দিনের ২০শতক, ছফি উদ্দিনের ২৫শতক, মোকলেছুর রহমানের দেড় বিঘা, হাশেম আলী ১বিঘা, নিন্দালুর ১বিঘা, কোহিনুর রহমানের ২০শতক, আবদুল জলিলের ১বিঘা সহ বাহাগিলী ইউনিয়নের অনেক কৃষকের আদা ক্ষেতে পচনরোগ ধরেছে।
এব্যাপারে কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, গতবারের তুলনায় এবার অতিবৃষ্টি হওয়ায় আদা ক্ষেতে পচনরোগ দেখা দিয়েছে। আমরা মাঠ কর্মীদের মাধ্যমে সকল প্রকার পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছি।আশা করি আবহাওয়া অনুকূল ভালো হলে পচনরোগ বন্ধ হবে।