মো: খায়রুল ইসলাম, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদী পৌর নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হারুনুর রশিদের ৪টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ.লীগের বিদ্রোহী) এস.এম কাইয়ুমের ৩টি নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার (৯ ফেব্র“য়ারি) দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই দুইঘণ্টা সময়ের মধ্যে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মোট ৭টি ক্যাম্প ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হারুনুর রশিদ। এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ এতদিন সুষ্ঠু থাকলেও আজ আওয়ামীলীগ সমর্থকদের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন স্থানে আমার চারটি ক্যাম্পে ভাংচুর করা হয়। ক্যাম্পগুলো হল, নরসিংদী পৌর এলাকার সাটিরপাড়া, নাগরিয়াকান্দি, দত্তপাড়া এবং কাউরিয়াপাড়া এলাকার। এ সময় আমার পোস্টার ছিড়ে ফেলা এবং মাইকিংয়ে বাঁধা দেওয়া হয়।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার ক্যাম্পগুলো ভাংচুরের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফোন করে জানাই। এই বিষয়ে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান উদ্দিন মোল্লা, সহ-সভাপতি মঞ্জুর এলাহী, শহর বিএনপির সভাপতি গোলাম কবির কামাল, সাধারণ সম্পাদক ফারুক উদ্দিন ভূইয়া, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আমিনুল হক বাচ্চু, প্রচার সম্পাদক শাহজাহান মল্লিক, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ ফকির রনি প্রমুখ।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল ফোন প্রতীকের এস.এম কাইয়ূম জানান, দুপুরের দিকে সাটিরপাড়া এবং বিকেলে দত্তপাড়া ও নাগরিয়াকান্দিতে আমার তিনটি ক্যাম্প ভাংচুর করেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় পোস্টার ছিড়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এসব ঘটনার বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমজাদ হোসেন বাচ্চু জানান, প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের করা এসব অভিযোগ আমি শুনেছি। তবে ওই সময় আমি আমার গণসংযোগ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। ক্যাম্প ভাংচুরসহ তাদের এসব অভিযোগের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
রিটার্নিং কর্মকর্তা কমল কুমার ঘোষ জানান, দুপুরের দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর একটি ক্যাম্প ভাংচুরের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষ থেকে কোন লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।