সম্রাট শাহ্ খুলনা ব্যুরো প্রধান-মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতমুখী শ্রোত বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ অবৈধ পথে ভারতে যাওয়ার জন্য মহেশপুরের বিভিন্ন গ্রামে জড়ো হচ্ছে এবং সীমান্ত এলাকার দালালদের মাধ্যমে তারা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
বিজিবির ভাষ্যমতে, ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করা নারী-পুরুষ সবাই বাংলাদেশেী। মহেশপুরের ৫৮ বিজিবির দেওয়া তথ্যমতে গত ৪২ দিনে ১২১ জন নারী, পুরুষ ও শিশু ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবির হাতে আটক হয়েছে। আটককৃতরা সবাই অভাবী ও দরিদ্র পরিবারের সদস্য। এদিকে বৃহস্পতিবার ৫৮ বিজিবির পরিচালক লেঃ কর্ণেল কামরুল আহসান এক ই-মেইল বার্তায় জানান, মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশের সময় ১৯ জনকে আটক করা হয়।
এর আগে গত বুধ ও মঙ্গলবার ১৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। বিজিবির ভাষ্যমতে ১৯ জনের একটি নারী, শিশু ও পুরুষের দল মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা পূর্বপাড়ার জনৈক মান্নাফ মিয়া বাড়ির পাশে অপেক্ষমান ছিল ভারতে প্রবেশের জন্য। খবর পেয়ে বাঘাডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক আবুল কালাম তাদের আটক করেন। আটককৃতরা হলেন, বাগেরহাটের শ্মরনখোলা উপজেলার ধানসাগর গ্রামের রাজু খান (২১), কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামের মিঠু (২০), পারবিষ্ণুপুর গ্রামের আনোয়ার মোল্যা (৪০), আলম (২০), খাদিজা খানম (১৮), নড়াইলের কালীয়া উপজেলার কলামনখালী গ্রামের সীমা বেগম (৩৪), আলিনা (০৪), নড়াইলের মীরাপাড়া গ্রামের মোঃ আবুজার শেখ (২২), একই জেলার নওয়াপাড়া গ্রামের আঃ রহিম শেখ (৫১), যশোরের শার্শা উপজেলার খাজুরা গ্রামের মোছাঃ জোহরা খাতুন (৩৬), খুলনার ফুলতলা উপজেলার গাবতলা গ্রামের আখি আক্তার (৩১), সামিয়া (০৮), বাগেরহাটের গোরাবুড়বুড়িয়া গ্রামের ফজিলা (৩০), পাইকগাছা উপজেলার বাতিখালী গ্রামের কমলাক্ষ মন্ডল (৩০), নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মোল্লাডাঙ্গা গ্রামের বাসুদেব মন্ডল (৬৮), যশোরের বিরামপুর গ্রামের শাহনাজ খাতুন (৩৩) ও লক্ষিপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল ফারুক (৩০)।
এ সময় অবৈধ ভাবে ভারতে পারাপারে জড়িত দালাল চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দৌলতগঞ্জ গ্রামের আবু জাফরের ছেলে মোঃ মিকাইফ তানভীর পবন (৩১) ও পুরাতন তেতুলিয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান বাবু (৩৫) কে দুইটি ইজিবাইকসহ আটক করে বিজিবি। দলে দলে বাংলাদেশীদের ভারতে প্রবেশের চেষ্টা নিয়ে বাঘাডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক আবুল কালাম জানান, আটকরে পর তারা বলে থাকেন চিকিৎসা ও কাজের সন্ধানে ভারতে যাচ্ছেন। তবে তারা চিকিৎসার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেন না।