নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের জকিগঞ্জ সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অবৈধ লাইসেন্স বিহীন ট্রলি-ট্রেক্টারের বিরুদ্ধে নিয়মিত থানা পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েকদিনে ধরে এ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ।
কৃষি কাজে ব্যবহ্যত মেশিনের ওপর বডি লাগিয়ে বিভিন্ন সড়কে অবৈধভাবে ট্রলি চলাচল করছে। যা যাত্রী সাধারণ সড়কের ওপর দিয়ে চলাচলে প্রতিনিয়ত ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। ছোট-বড় দুর্ঘটনাসহ প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। এর বিকট শব্দে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা বন্ধসহ দ্রুতগতির ও কমগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে রয়েছে এ অভিযান।
জকিগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোঃ আব্দুন নাসের এর সার্বিক দিক নির্দেশনায়, টি.এস.আই মোঃ আব্দুল ওয়াহিদে’র নেতৃত্বে টিম জকিগঞ্জের এ.টি.এস.আই বিদ্যুৎ রায়, বিলাল আহমদ, আব্দুলাহ-আল মুসলিম, কং চন্দ্রন গৌর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক এলাকায় এসব অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন সচেতন মহলের লোকজন এই অভিযান কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই অভিযান অব্যাহত থাকলে রাস্তাঘাট ভালো থাকবে এবং দুর্ঘটনা কমে যাবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শীত মৌসুমে জকিগঞ্জ উপজেলায় ট্রলি-ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলারচালিত এই যান দিয়ে সাধারণত ইটভাটার ইট, বালু বা মাটি পরিবহন করা হয়। অথচ ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার দুটিই মাঠে কৃষিকাজের জন্য অনুমোদিত; সড়ক-মহাসড়কে পণ্য বা অন্যান্য সামগ্রী বহনের অনুমতি নেই। স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজন বিভিন্ন উপজেলা থেকে ট্রলি-ট্রাক্টর বা পাওয়ার টিলার ভাড়া করে নিয়ে এসব কাজে ব্যবহার করছেন। লাইসেন্স বিহীন গাড়িতে রয়েছেন অদক্ষ চালক, নেই কোন সিগনাল, ব্রেক পুরো গাড়ি ক্লাসের উপর নির্ভরশীল যার ফলে দুর্ঘটনার মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলছে।
সড়কে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হওয়ায় গ্রামের ভিতরে চলছে তাদের কার্যক্রম। উপজেলার ৬ নং সুলতানপুর ইউনিয়ন ও ৯ নং মানিকপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় ছোটখাটো দুর্ঘটনার খবর ইতিমধ্যে রয়েছে। গত রবিবার মাঝবন গ্রামে মোটরসাইকেল ও ট্রলি দুর্ঘটনায় একজন গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায় তার অবস্থা খুব মর্মান্তিক এখনো জ্ঞান ফেরেনি।
জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোঃ আব্দুন নাসের বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা বন্ধ করতে ট্রলি-ট্রেক্টারের বিরুদ্ধে থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।