শিরোমণি ডেস্ক : উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির আগে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে শুধুমাত্র সেসব শিক্ষার্থীর ডোপ টেস্ট করা হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু হওয়ার পর সরকার নিয়ন্ত্রিত সব বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়া হবে।
যাদের ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের নমুনা পাওয়া যাবে তারা ভর্তির অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স অবলম্বন করবে। কোনো সুপারিশ গ্রহণযোগ্য হবে না। একাদশ জাতীয় সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১২তম বৈঠকের কার্যবিবরণীতে ৬.৪ ধারা থেকে এ তথ্য জানা যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব (প্রশাসন-১) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার স্বাক্ষরিত ওই পত্রটি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। এ কার্যক্রমটি দ্রুত শুরু হবে বলে জানা গেছে।
৬.৪ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির পূর্বে ও চূড়ান্ত পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে ‘ডোপ টেস্ট- বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ হতে সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং সচিব কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবরে ডোপ টেস্ট/বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে পত্র প্রেরণ করা হলো।
এতে বলা হয়েছে যে, দেশব্যাপী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আরো গতিশীল ও জোরদার করার লক্ষ্যে প্রায় ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ বছর মেয়াদি ‘মাদকাসক্ত শনাক্তকরণ ডোপ টেস্ট প্রবর্তন (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।