আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে, যারা এই দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়, স্বাধীন বাংলাদেশে এখনো যারা স্বাধীনতার গন্ধ খুঁজে পায়নি, তারাই ইতিহাস বিকৃতির নতুন ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
বিএনপির ৭ই মার্চ পালনের নামে ইতিহাস বিকৃতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৭৫ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর দু:শাসনের সময় যে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি সেই ষড়যন্ত্র আর সফল হবে না। কারণ দেশের মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণই ছিল স্বাধীনতার ঘোষণা ও স্বাধীনতা অর্জনের পথ নির্দেশনা। ছিল যুদ্ধ জয়ের সকল কলা-কৌশল। এই ঐতিহাসিক সত্যকে যারা অস্বীকার করতে চায় তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণ প্রচারে যারা বাধা দিত হঠাৎ করে তাদের ৭ মার্চ পালন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ ও দেশপ্রেমকে সঠিকভাবে জাতির কাছে উপস্থাপনের আহবান জানান।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ৭ই মার্চ পালনের নামে খন্ডিত ইতিহাস চর্চা করে বিএনপি-জামায়াত নতুন করে ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
বিএনপির ৭ই মার্চ পালনের অনুষ্ঠানে ইতিহাস বিকৃতকারী বিএনপি নেতাদের রাজনৈতিক ও বংশ পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডারী, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এস কে সিকদারসহ কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা।