মোরশেদ আলম,চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের পানওয়ালা পাড়ায় ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা আবুল কালাম নিহতের দুইদিন পর পটিয়া থানায় একটি হত্যা মামলে দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম। এ মামলায় ৫-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়েছে বলে পটিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
তবে এ মামলায় কাদেরকে আসামি করা হয়েছে তা আসামি গ্রেফতারের স্বার্থে নাম প্রকাশ করছেন না পটিয়া থানা পুলিশ।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, কুসুমপুরা ইউনিয়নের পানওয়ালা পাড়ায় ছুরিকাঘাতে আবুল কালাম নিহতের ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা রজু করা হয়েছে । নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে ৫-৭ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করেন। তবে আসামিদের আটকের ব্যাপারে আমরা তাদের নাম উল্লেখ করতে পারছি না। আমরা ইতোমধ্যে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেছি, আসামিদের আটকের পর নাম প্রকাশ করবেন বলে জানান ওসি।
প্রসঙ্গত, ১০ মার্চ পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের পানওয়ালা পাড়ায় বসতভিটা নিয়ে পূর্বের বিরোধের জেরে চলাচলের রাস্তায় নিহত পান বিক্রেতা আবুল কালামের একটা পানের ঝুড়ি রাখাতে কেন্দ্র করে তার আপন বড়ভাই আবু মুছা ও তার ছেলে সৌরভের সাথে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে ভাতিজা সৌরভ চাচা আবুল কালামের বুকে পিটে ছুরিকাঘাত করে এসময় তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাধা দিতে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে আবু মুছার পুরো পরিবার পালিয়ে যায়। এসময় গুরতর আহত অবস্থায় তাদের (স্বামী-স্ত্রী) কে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে আবুল কালামকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি করা হয়।