ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর সৌজন্যমূলক হলেও আলোচনায় আসতে পারে অসীমাংসিত ইস্যুগুলো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরে ঠিক কয়টি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হবে তা এখনও চুড়ান্ত নয়। তবে, তিস্তা তো নয়ই, অভিন্ন ছয় নদী নিয়ে যে আলোচনা চলছিল তারও কোনও ফলাফল আসেনি-জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কূটনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌজন্য সফর হলেও দুদেশের প্রধান যখন বৈঠকে বসবেন তখন অমিমাংসিত ইস্যুগুলো আলোচনায় উঠে আসবে।
পাঁচ বছর পর বাংলাদেশে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা পরিস্থিতির এই অবনতির মধ্যেও তিনি ঢাকায় আসছেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে। একই সাথে বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীও উদযাপন করছে ১৮টি দেশে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে অমিমাংসিত ইস্যুগুলো নিয়ে কোনও অগ্রগতি হবে নাকি শুধুই উদযাপনে সীমিত থাকবে- তা নিয়েও রয়েছে কৌতুহল।
জানা গেছে, সমুদ্রে মাছ ধরা, পরিবেশগত সহযোগিতা এবং দু’দেশের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতাসহ মোট পাঁচ থেকে আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলছেন, ‘এখনও কিছুই চুড়ান্ত নয়।’
পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রীর আপত্তিতে আটকে আছে তিস্তাচুক্তি। বিষয়টি এবারের আলোচনায় না আসার সম্ভাবনাই বেশি। এ মাসেই সচিব পর্যায়ের বৈঠক হলেও অভিন্ন ছয় নদীর পানিবন্টন নিয়ে কোনও অগ্রগতি নেই বলে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে, কূটনীতিক বিশ্লেষক হুমায়ুন কবীরের মতে, ভারতের সাথে আলোচনা শেষ মুহূর্তেও যে কোনোদিকে মোড় নিতে পারে।
বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুবিধার ধরন নিয়ে ‘কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট’ চুক্তির প্রস্তাব করেছে ভারত। সে বিষয়েও ঘোষণা আসতে পারে।