ভারতে শুরু হলো সবচেয়ে বড় ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম। দিনে অন্তত ৫০ লাখ মানুষকে করোনা ভাইরাসের টিকার আওতায় আনতে চায় দেশটির সরকার। আগে ৬০ ঊর্ধ্বদের টিকা দেয়া হলেও এবার ৪৫ বছরের বেশি সবাইকে দেয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন। স্থানীয়দের প্রত্যাশা, ভ্যাকসিন প্রয়োগ বাড়ার সাথে কমবে কোভিডের ভয়াবহতা।
গেলো অক্টোবরের পর আবারও দৈনিক ৭০ হাজারের বেশী রোগী শনাক্ত হলো ভারতে। করোনার ভয়াবহতা বাড়তে থাকায় ভ্যাকসিন কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে নয়াদিল্লী। আগে স্বাস্থ্যকর্মী ও ৬০ বছরের বেশি বয়স্করা টিকা পেলেও ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছর বয়সীরাও আসছে টিকার আওতায়।দিনে কমপক্ষে ৫০ লাখ মানুষকে ভ্যকসিনেশন কার্যক্রমের আওতায় আনতে চায় মোদি প্রশাসন।
ভারতীয় চিকিৎসক তশি নামগাইল বলেন, কে শ্রমিক বা কে পর্যটক কোন পার্থক্য থাকবে না সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে চাই আমরা। স্থানীয় টিকাদান কেন্দ্রে গেলেই সবাইকে দেয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন।
টিকাদান ব্যবস্থাপনা ও গোটা কার্যক্রমে খুশি গ্রহণকারীরা। তাদের আশা, টিকা প্রদানে গতি বাড়লেই করোনার বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া সম্ভব। থারতের সাধারণ মানুষ বলছেন, প্রত্যেক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা যথেষ্ট আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আশা করছি এভাবে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ভারত থেকে দ্রুতই বিদায় নেবে করোনা। এখন বেশির ভাগ দেশই মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন নেয়ার পাশাপাশি সচেতন না হলে কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না করোনাকে।
১৩০ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশটিতে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে সাড়ে ৬ কোটির বেশি মানুষকে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজও নিয়ে ফেলেছেন প্রায় ১ কোটি মানুষ। জুলাই মাসের মধ্যে ২৫ কোটির বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ।