এস এ ডিউক ভূঁইয়া (কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার তিতাস নদীর খনন কাজ শুরু হওয়ায় কৃষকের মাঝে দেখা যাচ্ছে উৎফুল্ল।নদী বেষ্টিত এ উপজেলাটি তিতাস নদীর দক্ষিণে জিয়ারকান্দি,নারান্দিয়া,পূর্বে কলাকান্দি,উত্তরে মজিদপুর,কড়িকান্দি ও বলরামপুর ইউনিয়ন।উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের লালপুর গ্রাম ঘেসে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর সংযোগ হতে উপজেলার মাছিমপুর হয়ে হোমনার দুলালপুর পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নদীর খনন কাজ ৫টি প্যাকেজে দুই বছর মেয়াদে টেন্ডারের মাধ্যমে রহমান কনেকট্রাকশন ও মিহা ট্রেডার্সসহ ৫টি ঠিকাদার কোম্পানী তিতাস নদীর খনন কাজ পায়। ইতিমধ্যে তাঁরা খনন কাজ শুরু করেছে। যার ব্যয় দরা হয়েছে ৭৬ কোটি টাকারও ওপরে।এর মধ্যে ২৫ কিলো মিটার পর্যন্ত খনন করা হবে ভ্যাকু দিয়ে,আর বাকী ২০ কিলো মিটার খনন করা হবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে।৯০ দশকেও এই তিতাস নদীতে ছিল প্রবল স্রোত এবংএই নদী দিয়ে মালবাহী বড় বড় নৌকা যাতায়ত করতো।কৃষকরা মাঠ থেকে ফসল বাড়িতে আনতো নৌকা দিয়ে।কিন্তু কালের পরিবর্তনে আজ এই তিতাস নদী তাঁর ঐতিহ্যকে হারিয়েছে ফেলেছে এবং দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে এই নদী পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায় নদীর স্রোত রাস পেয়েছে এবং কুচিরী পানার আবাদ হওয়ায় নদী দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে নৌ যান।বর্তমান সরকার নদীর খনন কাজ শুরু করায় তিতাস উপজেলার কৃষকের মাঝে দেখা যাচ্ছে উৎফুল্ল।দড়িকান্দি গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ সুলতান মিয়া বলেন, ৯০ দশকেও এই তিতাস নদী দিয়ে মালবাহী বড় বড় নৌকা চলাচল করতো,নদীটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় অনেক কৃষক তাঁদের জমিতে আবাদ করা বন্ধ করে দিয়েছে,কারণ মাঠ থেকে ফসল বাড়িতে আনতে অনেক খরচ পরে তাই।সরকার যখন নদী খনন কাজ শুরু করেছে,কৃষকরা আবারও জমিতে ফসল আবাদ মূখি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।কুমিল্লার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন,তিতাস উপজেলার লালপুর গোমতী নদীর সংযোগ হতে উপজেলার মাছিমপুর হয়ে হোমনা উপজেলার দুলালপুর পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার নদী খনন করার জন্য গেল বছরের ডিসেম্বর মাসে টেন্ডার ওপেন হলে ৭৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ৫টি প্যাকেজের মাধ্যমে ২ বছর মেয়াদে নদীর খনন কাজ পায় রহমান কনেকট্রাকশন ও মিহা ট্রের্ডাসসহ ৫টি ঠিকাদার কোম্পানী।এর মধ্যে ২৫ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে ভ্যাকু দিয়ে,আর বাকী ২০ কিলো মিটার খনন করা হবে ড্রেজারের মাধ্যমে।ইতিমধ্যে ঠিকাদাররা ভ্যাকু দিয়ে নদীর খনন কাজ শুরু করেছে।
১৯ views