ডেস্ক রিপোর্টঃ
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বা সর্বাত্মক লকডাউনের বুধবার থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপের কঠোর লকডাউনে খানজাহান আলী থানা এলাকায় চিত্র সম্পুর্ণ পাল্টে গেছে। সাধারণ মানুষ কারণে অকারণে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসে রাস্তায় এবং বাজারে অযাথা ঘোরাফেরা করছে। বাজার অধিকাংশ দোকানপাট খোলা এ সকল দোকানপাটের ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। একই সাথে সড়কে যাত্রীবাহী ছোট যানবাহন ছিল নজরকাড়ার মতো। লকডাউনের প্রথম ধাপে সিএনজি, মাহেন্দ্র রাস্তায় দেখা না গেলেও দ্বিতীয় ধাপের কঠোর লকডাউনের শুরুতে রাস্তায় ছিল মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক, ভ্যান, রিক্রা. মটরসাইকেল এবং পন্যবাহী ট্রাক। কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় ধাপের দ্বিতীয় দিন ছিল ঢিলেঢালা ।
কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় ধাপের(২১ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত) খানজাহান আলী থানা এলাকার আফিলগেট থেকে ফুলবাড়ীগেট এলাকা পর্যন্ত ঘুরে দেখাগেছে, সাধারণ মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে বাজার গুলোতে ভীড় করছে। থানা এলাকার আফিলগেট, ইষ্টার্ণগেট, শিরোমণি, বাদামতলা এবং ফুলবাড়ীগেট এলাকার মার্কেটের অধিকাংশ দোকানপাট ছিল খোলা এবং ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। মহাসড়কের রাস্তায় দাপিয়ে বেডিয়েছে মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক, রিক্রাা, মটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহন।
সরেজমিন ঘুরে দেখাগেছে কঠোর লকডাউনের প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপে শিরোমণি বাজারের মার্কেট গুলোর মুদি দোকান, ভ্যারাটিস দোকানসহ অধিকাংশ দোকানপাট বেশি খোলা ছিল এবং দোকান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে। মার্কেটের ভিতরের পরিবশে দেখে মনে হবে না দেশে কঠোর লকডাউনে সরকারি ভারেব সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা চলছে। ঘর ছেড়ে মানুষ বাজরে এবং রাস্তায় কারণে অকারণে ঘোরাফেরা করছে। ফুলবাড়ীগেটের বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট গুলো খুলে নির্বিগ্নে বেচাকেনা করছে। প্রথম ধাপের সর্বত্মক লকডাউনে পুলিশি তৎপরতা দেখা গেলেও দ্বিতীয় ধাপের লকডাউনে পুলিশি তৎপরতা কম থাকায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাস্তায় মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক, রিক্রাা, মটরসাইকেলসহ ছোট যানবাহনের উপস্থিত ছিল চোখে পড়ার মতো। সাধারণ মানুষ কারণ ছাড়াই ঘর ছেড়ে অযাথা বাইরে ঘোরাফেরা করছে।
খানজাহান আলী থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রবীর কুমার বিশ^াস বলেন, কঠোর লকডাউন বা সর্বাত্মক লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে আইন শৃংখলা বাহিনী কঠোর অবন্থানে থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালনে জিরোটলারেন্স। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সকলকে সরকারি নিদের্শনা মেনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেকে এবং পরিবারকে রক্ষায় প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার আহবান জানান।