উক্তম কুমার,জয়পুরহাট প্রতিনিধি, দৈনিক শিরোমণিঃ
জয়পুরহাট সদর উপজেলার মঙ্গলবাড়ি এলাকার জাহানপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাদল মাষ্টার শিক্ষকতা পেশায় সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি তিনি। শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি গরু-ছাগল পালন করে ইর্শনীয় সাফল্য পেয়েছেন বাদল মাষ্টার। চাকুরীর দূমূর্ল্যের এই বাজারে বেকার তরুনদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রশিক্ষন দিতেই এমন উদ্যোগ করেন তিনি।জয়পুরহাট সদর উপজেলার মঙ্গলবাড়ি এলাকার জাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা ও একই গ্রামের ঐতিহ্যবাহি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক, যাকে বাদল মাষ্টার।
শিক্ষকতার পাশাপাশি নিজ বাড়িতে গত বছর নভেম্বর মাসে ২টি এঁড়ে গরু নিয়ে খামার করার যাত্রা শুরু করেন তিনি। এর মধ্যে মেয়ে-জামাইয়ের সহযোগীতায় ধীরে ধীরে বিভিন্ন জাতের উন্নত প্রজাতির ৪১টি সূদৃশ্য এঁড়ে ও বদল গরু শোভা পাচ্ছে তার সখের খামারে। এর মধ্যে ২০টি সাইয়াল, ১২টি বলদ, ৪টি সিন্ধি, ২টি অষ্ট্রেলিয়ান বা ফ্রিজিয়ান, ২টি নেপালী ও ১টি বাহামা জাতের গরু রয়েছে। এ ছাড়াও ৬টি উন্নত জাতের বাছুরও পালন করছেন তিনি। বিশুদ্ধ পদ্ধতি অবলম্বন করে সম্পূর্ন প্রাকৃতিক ও দেশীয় খাদ্য দিয়ে মোটা-তাজা করনের এই প্রকল্প হাতে নিয়ে সফল হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, একই ভাবে গরুর পাশপাশি ছাগলের খামার তৈরীর কাজেও হাত দিয়েছেন এই শিক্ষক। এই খামারের প্রসারের সাথে সাথে আরো কর্ম সৃষ্টির আশাও রয়েছে এই খ্যাতিমান শিক্ষকের৷
আবু বক্কর সিদ্দিক বাদল মাষ্টার, গরু খামারী।শুধু নিজে লাভের জন্যই নয়, বরং এলাকার গরীব বেকার তরুনদের কর্ম সংস্থানের জন্যও তিনি গড়ে তুলেছেন তার স্বপ্নের এই খামার। তার খামারে এখন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন প্রায় দেড় ডজন যুবক। শিক্ষার্থীদের বিদ্যা শিক্ষা দিলেও চাকুরীর প্রতিযোগীতায় গ্রামের শিক্ষার্থীর্রা বর্তমানে বেশ পিছিয়ে রয়েছে, তাই শিক্ষিত বেকারদের জন্য নিজ গ্রামে বসেই সৎ পথে রেজগারের পথ দেখাতে তার খামারটি যেন এক ব্যবহারিক পাঠদান ক্ষেত্র। এই ধারনা নিয়ে নিজ এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতি দিনই তার খামার দেখতে আসছেন অনেকেই। বাদল মাষ্টারের গরু-ছগলের খামার দেখে গরু-ছাগল পালনে আগ্রহও প্রকাশ করেন অনেকে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দর্শনার্থী আসেন শুধু বাদল মাষ্টারের আদর্শে অনুপ্রানীত হয়ে ইতোমধ্যে অনেকে গরু-ছাগল পালন শুরু করেছেন। এসব উদ্যোমী খামারীদের জন্য নানা সহযোগীতার কথা বললেন স্থানীয় প্রণিসম্পদের এই প্রধান কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ।
২২ views