কিলিয়ান এমবাপের অনুপস্থিতিতে আলো ছড়ালেন নেইমার। গোল করলেন ও করালেন। ব্রাজিলিয়ান তারকার নৈপুণ্যে লঁসের বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেল মাওরিসিও পচেত্তিনোর দল। নিজেদের মাঠে শনিবার লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে আধিপত্য করা পিএসজি প্রথম মিনিটেই লক্ষ্যে শট নেয়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ইদ্রিসা গেয়ির প্রচেষ্টা ঠেকান গোলরক্ষক। ষষ্ঠ মিনিটে বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে নেইমারের পাসে পাবলো সারাবিয়ার শট প্রতিহত হয় ডিফেন্ডারের পায়ে। প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৩৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডিফেন্ডার ফাকুন্দো মেদিনা বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে পেয়ে যান ইউলিয়ান ড্রাক্সলার। এই জার্মান মিডফিল্ডারের পাসে কাছ থেকে শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন নেইমার।
পাঁচ মিনিট পর নেইমারের প্রচেষ্টা পা দিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। বিরতির আগে আহনু কালিমেন্দুর শট ফিরিয়ে জাল অক্ষত রাখেন পিএসজির গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।
৫৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্কিনিয়োস। নেইমারের কর্নারে লাফিয়ে হেডে বল জালে পাঠান এই ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার। পরক্ষণেই ব্যবধান কমায় সফরকারীরা। সতীর্থের ক্রসে ডি-বক্সে ওভারহেড কিকের চেষ্টায় ঠিকমতো বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি কালিমেন্দু। ছয় গজ বক্সে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড গেনাগো।
৬৮তম মিনিটে নেইমারের ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। শেষ দিকে মাউরো ইকার্দি বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। ব্যবধানও তাই আর বাড়েনি।
লিগে এই নিয়ে টানা চতুর্থ জয় পেল পিএসজি। ৩৫ ম্যাচে ২৪ জয় ও তিন ড্রয়ে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত শীর্ষে উঠেছে প্যারিসের দলটি। এক ম্যাচ কম খেলা লিল ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে। শনিবার রাতে নিসকে হারালেই আবার শীর্ষস্থান ফিরে পাবে তারা।
লিলের সমান ম্যাচে ৭১ পয়েন্ট নিয়ে মোনাকো তিনে, ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে লিওঁ চারে আছে। ৩৫ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে লঁস।