রেদোয়ান হাসান,সাভার,ঢাকা প্রতিনিধি, দৈনিক শিরোমণিঃ
ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। অন্যান্য কেনাকাটা শেষে এবার চলছে ঈদগাহে নামাজে যাবার প্রস্তুতি হিসেবে আতর, টুপি, জায়নামাজ ও সুরমা কেনাবেচার ধুম পড়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সাভার বাজার, নামা বাজার, ধামরাই বাজার, বাইপাইল বাজারে ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।বাজারগুলোতে দেখা যায়, ঈদের কেনাকাটায় আতর ও টুপি কিনছেন ক্রেতারা। প্রায় সব দোকানেই কম বেশি ভিড় দেখা গেছে।আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় টুপি কিনছিলেন শরিফুল ইসলাম। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের জামা-কাপর কেনা শেষ। এখন ঈদগায় যাবার জন্যে টুপি, আতর ও জায়নামাজ কিনলাম।স্বামীর জন্যে আতর কিনছিলেন সানজিদা জান্নাত নামে আরেক ক্রেতা। তিনি বলেন, পাঞ্জাবি, প্যান্ট কিনেছি গতকালকেই। টুপি আর আতর কেনা বাকি ছিল। ঈদের নামাজে যাবার সময় একটু সুগন্ধি না হলে কেমন যেনো লাগে।গত দুইদিনে আতর ও টুপির বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, সৌদি আরব, ইন্ডিয়ান ও দুবাইয়ের আতর বেশি চলছে। জানা যায়, ২০টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত দামের আতর বিক্রি করা হচ্ছে এসব দোকানে। ব্র্যান্ডের মধ্যে বেস্ট, এক্সপোর্ট, ডার্ক, অ্যাসেল, ডি’আভ, অ্যাপল, আইসবার, যানাশিন, অরেঞ্জ, রোজ মাস্ক, ম্যাগনেট, হোয়াইট মাস্ক, নাজিম ব্র্যান্ডের আতর বেশি বিক্রি হচ্ছে।এছাড়া ৫০টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা মূল্যের টুপিও রয়েছে। তবে বিদেশি টুপির চেয়ে দেশি টুপিই বেশি বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে ৩০০ টাকার মধ্যেই দেশীয় অনেক ভালো টুপি পাওয়া যায়।ধামরাইয়ের টুপি বিক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, সারা বছরের চেয়ে এই সময়ে বেশি টুপি ও আতর বিক্রি হয়। আর ঈদের এক দুইদিন আগেই বিক্রি বাড়ে। এবারো সেভাবেই বিক্রি বেড়েছে।সাভারের আরেক টুপি বিক্রেতা ফয়সাল হোসেন বলেন, গত দুইদিনে বিক্রি বেড়েছে। তবে ভয়ে ছিলাম, করোনার কারণে বিক্রি একদমই কম হয় কি না।
১ view