পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিভিন্ন গ্রামে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে গোস্ত সমিতি, প্রতি বছর ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গ্রাম, পাড়া বা মহল্লায় এ ধরনের ‘গোস্ত সমিতি’ গঠন করা হয়। আট-দশ বছর আগে থেকে দু-এক জায়গায় গোস্ত সমিতি চালু হয়। পরে প্রতি বছরই বিভিন্ন এলাকায় সমিতির সংখ্যা বাড়তে থাকে। এ বছর টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বা গ্রামেই এমন সমিতি গড়ে উঠেছে।
প্রতি সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ৩০ থেকে ১০০ জন পর্যন্ত হয়ে থাকেন। তারা প্রত্যেকে প্রতি সপ্তাহে বা মাসে নির্ধারিত হারে চাঁদা বা সঞ্চয় ক্যাশিয়ারের নিকট জমা দেন। জমা করা টাকায় ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই শুরু করেন গরু জবাই করে গোস্ত ভাগ করে নেওয়া। আগে শুধু নিম্নবিত্তের লোকেরা এ ধরনের সমিতি করলেও এখন মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরাও সমিতি করছেন।
ঈদের আগে থেকেই অনেক এলাকার সমিতির সদস্যরা গরু কিনে এনে জবাই করে গোস্ত ভাগ করে নিয়েছেন। সমিতি করলে নিজেরা গরু কিনে এনে ভালো গোস্ত পাওয়া যায়। তাছাড়া খরচের চাপটাও অনেক কমে।
বিভিন্ন গ্রামের গোস্ত সমিতির একাধিক সদস্য জানান, ঈদে গোস্ত কিনতে অনেক টাকা লেগে যায়, তাদের মতো আয়ের লোকের পক্ষে তা সম্ভব হয় না। তাই তারা কয়েক বছর ধরে তাদের গ্রামে গোস্ত সমিতি গঠন করেছেন। এতে মাসে ২০০/৫০০ টাকা করে জমা করেন, তারা প্রতি ঈদে পাঁচ-দশ কেজি করে গোস্ত পাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, এতে প্রতি ঈদে নিজেদের পছন্দের সুস্থ-সবল গরু কিনে এনে ভালো গোস্ত নিতে পারছেন। সমিতিতে মাসিক কিস্তি দেওয়ায় গোস্তের খরচটাও গায়ে লাগে না।