জোবায়ের ফরাজী,বাগেরহাট: বাগেরহাটে, প্রতিনিধি, দৈনিক শিরোমণিঃ পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে।মুসল্লিদের আধিক্যের জন্য প্রতিবছরের মত এবারও ৩টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় এবং সকাল সাড়ে ৮টায় তৃতীয় ও শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে ।গেল কয়েক বছর ধরে জেলার প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ঐতিহাসিক এই মসজিদে। বাগেরহাট বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এখানে ঈদের নামাজে অংশ নেন।প্রায় ৬০০ বছর আগে হযরত খানজাহান ঐতিহাসিক ষাটগুম্বজ মসজিদ নির্মানের পর প্রতিটি ঈদে এখানে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসলেও করোনা পরিস্থিতির গত বছরের ন্যায় এবারও মসজিদের বাইরের খোলা চত্তরে বিশাল ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবেনা। সীমিত পরিসরে মসজিদের ভিতরে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বাগেরহাটে ঈদুল ফিতরকে ঘিরে জেলা প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ষাটগম্বুজ মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগন ঈদের নামাজ আদায় করবেন।বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খোন্দকার রেজাউল করিম বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও বাগেরহাট জেলার প্রধান ঈদের নামাজ ষাটগুম্বুজ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের জামাতের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ পটকা, আতসবাজি ফুটানো বন্ধ রাখা, রেকর্ডার ও মাইকের মাধ্যমে গান না বাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহাসিক ষাটগুম্বুজ মসজিদে ঈদের জামাতে স্থানীয় মুসল্লি ছাড়াও দেশি বিদেশি পর্যটকরা নামাজ আদায় করলেও এবার করোনাকালে এই দু’টি পর্যটন কেন্দ্রে দেশী-বিদেশী সব পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে”।ষাটগম্বুজ মসজিদের কাস্টুডিয়ার মো. জায়েদ জানান, “করোনা পরিস্থিতির কারনে শুধুমাত্র ঈদের জামাতের জন্য ষাটগুম্বুজ মসজিদ খুলে দেয়া হবে। ষাটগুম্বুজ মসজিদের বাইরের খোলা চত্তরে বিশাল ঈদ জামাত হবেনা। ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার জন্য সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হবে। মুসল্লিরা নিজ-নিজ জায়নামাজ নিয়ে মুখে মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।