মিহির রঞ্জন বিশ্বাস ,ফুলতলা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
খুলনা মাহানগরির কোল ঘেঁষে বয়ে চলেছে রূপসা ও ভৈরব নদী । নদিতে কারগো জাহাজ ,ট্রলার ,নৌকা অনেক কিছুর পাশাপশি মাঝে মাঝে চোখে পড়ে কাকড়া শিকারে নৌকা । তেমনি কথা হল এক কাকড়া শিকারি সজলের সাথে ।সজলের (২৫) বাড়ি খুলনার হাজি গ্রাম লেখা পড়া শেষ করে বসে আছে তাই অন্যদের সাথে ওরা চার জন মিলে এই মৌসুমে কাকড়া শিকার করে ভৈরব ও রুপসা নদিতে । সজল বলে সাধারনতো , চৈত্র ও বৈশাখ মাসে নদিতে নোনা পানি থাকা কালিন সময়েই কাকড়া পাওয়া যায় আর এই সময়টাতে আমরা কাকড়া শিকার করি । বৃস্টি শুরু হলে নদিতে বৃস্টির পানি বেড়ে গেলে মিঠা পানিতে কাকড়া পাওয়া যায়না । দাড় বেয়েচলা মাঝারি ধরনের নৌকায় শত খানেক বাশের শলা দিয়ে বাশের খাঁচা বা ঘুনি দিয়ে ধরা হয় কাকড়া । এক ঘুনির সাথে আরেক ঘুনি দড়ি দিয়ে বেঁধে তা মালার মতোন সাজিয়ে রাখা হয় নৌকায় । খাচার মধ্যে কুচিয়া মাছের টুকরো দিয়ে পেতে রাখা হয় । লম্বা রশির মাথায় ভারি ( ওজন) বেঁধে দিয়ে খাচা গুলোকেলম্বা দড়িতে মালার মতো বেঁধ নদিতে ফেলে দেয়া হয় । জোয়ার বা ভাটায় মাঝা
মাঝি পানি যখন স্থির হয় তখন তা টেনে তোলা হয় নৌকায় । খাচার ভিতরে কুচে মাছের টুরো খেতে আসা কাকাড়া খাচায় ঢুকলে তা আর বের হতে পারেনা । এক এক খাচায় একের অধিক হারে কাকড়া আটকা পড়ে থাকে ।সজল আরো বলে ছোট বড়ো নানা ধরনের কাকড়া পাওয়া যায় ছেট কাকড়া আমরা এলাকার বাজার গুলোতে ১ শত থেকে ২ শত টাকায় খুচরা বিক্রয় করি । বড় সাইজের কাকড়া মাহাজনদের কাছে বিক্রয় করি মাহাজনরা বিদেশে রপ্তানীর জন্য নিয়ে যায় । কিন্তু বর্তমানে করোনা কারনে রপ্তানী বন্দ থাকায় দাম অনেক কম । আগে আমরা অনেক ভালো দাম পেতাম কিন্তু এখন বাজার দাম কমে গেছে। আগে যেখানে কেজি প্রতি ৩০০/৪০০ টাকা পেতাম এখন পাই অনেক কম। তবুও জীবিকার প্রয়োজনে কাকড়া শিকার করছি এবং তা বিক্রি করছি। কাকাড় শিকার করতে গিয়ে আমাদের যে পুজি খাটাতে হয় ও পরিশ্রম হয়,সেই হারে দামপাচ্ছি না।