মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন,নোয়াখালী,প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
নোয়াখালীর সদর উপজেলার নিখোঁজ হওয়ার ১১ ঘন্টা পর এক মুদি দোকানির ঝুলন্ত মরদেহ তার নিজের দোকান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ ও নিহতের পরিবার তাৎক্ষণিক এ হত্যাকান্ডের কোন কারণ জানাতে পারেনি।নিহত কামাল উদ্দিন জুয়েল (৩৫) সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের মাধু মিয়ার বাড়ির আবুল কালামের ছেলে। তিনি ২ ছেলের জনক ছিলেন।বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুর ১টার দিকে ধর্মপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ঈদগাও মাঠের পোলের গোড়া সংলগ্ন নিহতের মুদি মনোহারি দোকান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।নিহতের ছোট ভাই মো.শাহদাত হোসেন মামুন জানান, তাদের বাড়ি ধর্মপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামে। তার সেজো ভাই জুয়েল একই ইউনিয়নের তাদের বাড়ি সংলগ্ন ২নম্বর ওয়ার্ডের ঈদগাও মাঠের পাশে মুদি দোকান করত। পাশাপাশি পরিবাবের দেখ ভালো করত সে। তারা তিন ভাই প্রবাসে থাকেন। তিনি আরো জানান, তাদের দুবাই প্রবাসী দুই ভাই দুবাই থেকে মাঝে মধ্যে হন্ডির ব্যবসা করত। তারা হুন্ডির টাকা বিদেশ থেকে জুয়েলের কাছে পাঠায়। সে টাকা গুলো বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিত। গতকালকে দুবাই থেকে হন্ডির মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা জুয়েলের কাছে পাঠানো হয়। বুধবার (২৬ মে) রাত ১১টার দিকে জুয়েল ঘরে ভাত খেয়ে বাহিরে চলে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রাত ১২টার দিকে আমার ভাবি আমাকে এ বিষয়ে ফোন করে জানালে আমি তার নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। আমি মনে করেছি তিনি টাকা দিতে হয়তো মাইজদী গেছেন। পরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আমি শুয়ে পড়ি। সকাল ১০টার দিকে আমার জাঠাতো ভাই মো. ইরাজ তার দোকানে গিয়ে স্যাটার খুলে দেখতে পায় স্যাটারের পাশে একটি লোহার সাথে তার মরদেহ ঝুলে আছে।নিহতের ভাই মামুন অভিযোগ করেন, কখনো আমার ভাই রাতে দোকানে থাকতনা। তার ভাইকে কেউ হত্যা করে দোকানের ভিতর একটি লোহার সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। তার ভাইয়ের হাতে হালকা আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তা (ওসি) মো.সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছেনা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
১৩ views