মোঃ মাসুম, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
মুন্সিগঞ্জ টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বাঘিয়া ভূমি অফিস সংলগ্ন একটি সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরে থাকলেও মিলছেনা স্বাস্থ্য সেবা। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে একসময় হাজার হাজার অসুস্থ্য মানুষ চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকতো, কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোনো স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেনা এলাকাবাসী।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে,সেখানে নেই কোনো স্বাস্থ্যকর্মী বা ডাক্তার।পুরা গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আলমগীর আখন জানান, ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি বাঘিয়া বাজার সংলগ্ন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে গর্ভবতী, শিশু, নবজাতকের চিকিৎসাসহ প্রাথমিক সব ধরনের চিকিৎসা সেবা এবং ঔষধ বিতরণ করা হতো, এমনকি সাবেক কর্মকর্তা বিউটি আক্তারের কাছে নরমাল ডেলিভারির জন্য রাতের বেলায় কোয়াটারে গেলে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যেত, সবসময় সেখানে থাকতো রোগীদের আশা যাওয়ার ভিড় কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন সেখানে গড়ে উঠেছে লোকজনের আড্ডাস্থল। সব ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। যেখানে করোনা পরিস্থিতিতে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ সেখানে গরিব দুঃখীদের করোনা ঠেলে যেতে হচ্ছে টঙ্গীবাড়ী অথবা মুন্সিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।আমরা চাই এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিয়ে আগের মত সচল করা হোক, যাতে করে করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হয়।এলাকার স্থানীয় রাব্বি সরদার জানান, এই কেন্দ্রে এলাকার গরিব মানুষেরা স্বাস্থ্য সেবা এবং বিনামূল্যে ঔষধ পেতো, আমিও এখানে সেবা নিয়েছি কিন্তু কয়েক বছর যাবৎ এখানে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছেনা, এতে করে এলাকার গরিব লোকজন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যদি এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করা হয় তাহলে এলাকার লোকজনের জন্য অনেক উপকার হবে।যশলং ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য ইসমাইল খান (বাবু) জানান, আগের মতো এখন প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়না, তবে সপ্তাহে একদিন খোলা থাকে।সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেন, লোকবল কম হওয়ায় আমরা সেখানে স্বাস্থ্যকর্মী দিতে পারছিনা, তবে চলমান রাখার জন্য প্রতি সপ্তাহে একজন কর্মী পাঠাই।
৩ views