নরসিংদী প্রতিনিধি মো: খায়রুল ইসলামঃ দুই-দুইবার নির্বাচিত নরসিংদী জেলার শ্রেষ্ঠ পলাশ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ জাবেদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালিয়ে অযথা হয়রানি করে আসছে। বিষয়টি পলাশবাসীর মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
পলাশ উপজেলাধীন ঘোড়াশাল পৌরসভার টেকপাড়া গ্রামের মৃত: সৈয়দ সামসুউদ্দিনের পুত্র সৈয়দ জাবেদ হোসেন। সর্ব প্রথম তিনি ২০১৫ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার নিকটতম প্রার্থীর চেয়ে দুই তৃতীয়াংশের ও বেশী ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর পলাশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নের আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন। দলমত নির্বিশেষে তিনি সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন।
পাশা-পাশি গতিশীল সাংগঠনিক কর্মতৎপরতায় সংগঠনকে সু-সংগঠিত করে তোলেন। ফলে দ্বিতীয়বার নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে পলাশের সাংসদ ডা: আনোয়ারুল আশরাফ খান (দিলীপ) এর সহযোগিতায় সারাদেশের মধ্যে পলাশ উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলেন।
বিশেষ করে শিক্ষাখাতে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় শিক্ষাপদক প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর আওতায় তাকে নরসিংদী জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। সৈয়দ জাবেদ হোসেনের উন্নয়নের জোয়ার দেখে এলাকার একটি কুচক্রী মহল ব্যক্তিগতভাবে ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য বিভিন্ন অপচেষ্ঠায় লিপ্ত হয়।
কুচক্রী মহলটি একটি জাতীয় দৈনিকে সৈয়দ জাবেদ হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট নাটক সাজিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়। কুচক্রী মহলটি শুধুমাত্র এখানেই তাদের ভানুমতির খেলা শেষ করেনি।
তারা নামে-বেনামে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ লিখে দুর্নীতি দমন কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তনাধীন রয়েছে।
সৈয়দ জাবেদ হোসেন জানান, তিনি কোন প্রকার অন্যায় কাজ করেননি। পলাশ বাসীর উন্নয়নের জন্য তিনি দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। পলাশের এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা রাস্তা-ঘাট-কালভার্ট নেই যেখানে তার উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। তিনি আরো বলেন, তার দৃঢ় বিশ্বাস মহান সৃষ্টিকর্তা যদি সহায় থাকেন তবে কেউ তার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। তিনি সকলের দোয়া প্রার্থী।