মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন,নোয়াখালী প্রতিনিধি,দৈনিক শিরোমণিঃ
নোয়াখালীতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ কর্মসূচির আওতায় ঋণের চেক বিতরণ করা হয়।সোমবার (৩১ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।খোরশেদ আলম খান বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য স্বল্প সুদে (৪%) ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে মোট ২০ হাজার কোটি টাকার ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।তিনি আরও বলেন, আজকে (৩১ মে) নোয়াখালী জেলার ১৭ জন উদ্যোক্তাদের মাঝে মোট ৬০ লক্ষ টাকার ঋণের চেক বিতরণ করা হলো। ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে এই ঋণ কর্মসূচি’র অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে করোনায় ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের আহবান জানান প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।নোয়াখালী জেলার বিসিক কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক মাহবুব উল্যাহ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে লক্ষ্য কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর অনুদান বাবদ বিসিকের অনুকূলে বরাদ্দকৃত প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি টাকা’র মধ্যে নোয়াখালী জেলায় মোট ৮০ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন বলেন, করোনার সংক্রমণ বিস্তাররোধে সরকারের সৃষ্ট লকডাউনের ফলে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাগণ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের এই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্যাকেজ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।ঋণের চেক পেয়ে জনতা পাওয়ার মিলের স্বত্বাধিকারী মনিরুল ইসলাম মকুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্যাকেজের টাকা পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। নোয়াখালী জেলা প্রশাসন ও বিসিক এর সার্বিক সহযোগিতায় ১০ লাখ টাকার ঋণের চেক হাতে পেলাম। সে জন্য আমি তাদের আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিসিক কর্মকর্তাগণসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
৫৬ views