জুভন্তাসের হয়ে দলগতভাবে মরশুমটা একেবারেই ভাল কাটেনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। পরপর নয় বার লিগ জেতার পর কোনক্রমে ভাগ্যের সহায়তায় চার নম্বরে শেষ কেরেছে জুভে। তবে ব্যক্তি রোনালদো এই মরশুমেও নিজের উচ্চ স্তর বজায় রেখেছেন।
জুভেন্তাস হতাশাজনক পারফর্ম করলেও এ মরশুমের সিরি এ-তে ৩৩ ম্যাচে ২৯ গোল করে সর্বোচ্চ গোলস্কোরার (অন্যদের তুলনায় পাঁচ বেশি) হন রোনালদো। অনবদ্য গোল রেকর্ডের সুবাদে রোমেলু লুকাকু, ইব্রাহিমোভিচকে হারিয়ে সিরি এ-র সেরা স্ট্রাইকার নির্বাচিত হলেন পর্তুগিজ তারকা।
লিগ না জিতলেও বিয়ানকোনেরি কোপা ইতালিয়া এবং সুপার কাপ নিজেদের নামে করে। ইতালিয়ান কাপ জেতায় প্রথম ফুটবলার হিসাবে ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালিতে সব ঘরোয়া খেতাব জেতার অনন্য নজির গড়েন রোনালদো। তবে রোনালদো নয়, লিগের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতেন ইন্টার মিলানের রোমেলু লুকাকু। ২৪টি গোল ও ১১টি অ্যাসিস্টের সাহায্যে ইন্টারকে লিগ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন এই বেলজিয়ান তারকা।
১৪টি ক্লিনশিট রাখার সুবাদে সেরা গোলরক্ষক মনোনীত হন এসি মিলানের জিয়ানলুইজি ডোনারুমা। ইন্টারের নিকোলো বারেলা ও আটালান্টার ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো যথাক্রমে সেরা মিডফিল্ডারের ও ডিফেন্ডার নির্বাচিত হন। তবে হয়তো সেরার শিরোপা জিতেই ইতালিকে বিদায় জানাতে চলেছেন রোনালদো। তাঁর দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। পরের মরশুমে কোন দলের জার্সি গায়ে ৩৬ বছর বয়সী তারকাকে খেলতে দেখা যাবে, এখন সেটাই চর্চার প্রধান বিষয়।