ঢাবি প্রতিনিধি
বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বর্বর নির্যাতনের ঘটনাসহ সারা দেশে ঘটে যাওয়া একের পর এক ধর্ষণ নারী নিপীড়নের ঘটনায় আজও শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে প্রগতিশীল ছাত্রজোটসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। উত্তাল অব্যাহত রয়েছে। সেখানে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ও পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
গত দুইদিনের মতো বুধবার সকাল ১১টা থেকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
এর আগে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ১৬টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জাদুঘরের সামনে জড়ো হতে থাকে। ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায় ধর্ষকদের ঠাঁই নেই’, ‘শহীদ রুমির বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নেই’, ‘বিজ্ঞাপনে নারীকে পণ্য করা চলবে না’সহ ধর্ষণবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
পরবর্তী কর্মসূচি কি জানতে চাইলে জোটের অন্যতম শরীক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা সাদিক হাসান জানান, ‘আমাদের উপস্থিতির সংখ্যা আরেকটু বাড়লে আমরা একটু পর শাহবাগ মোড় অবরোধ করবো।’
একইস্থানে সাড়ে এগারোটায় জড়ো হয় ‘সেভ আওয়ার ওমেন’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন। সেখানে মানববন্ধন শেষে জাদুঘরের সামনে বসে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
এরপর দুপুর ১২টায় ‘ধর্ষণের বিরোদ্ধ ছাত্র জনতার’ ব্যানারে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত হয়। তারাও বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ধর্ষণের প্রতিবাদ জানায়। সমাবেশ থেকে তারা ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি জানান।
এদিকে সাড়ে ১২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর সংগঠন টিম পজিটিভ বাংলাদেশ (টিপিবি)। সমাবেশ থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত সকল মামলায় বাদীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ ও মামলা পরিচালনার যাবতীয় ব্যায়ভার রাষ্ট্র কর্তৃক বহন নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়।