আমদানিনির্ভর কাঁচামালের ওপর ভিত্তি করে ওষুধশিল্প টেকসই হবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বাজেট বক্তৃতায় ওষুধশিল্প সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে দেশীয় চাহিদার প্রায় ৯৭ শতাংশের বেশি ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি ৪৩টি কোম্পানির বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় ৯২টি দেশে রফতানি হচ্ছে। ওষুধশিল্পের আরও উন্নতির লক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়াতে সব ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা এবং কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারসহ একটি এপিআই শিল্পপার্ক স্থাপন শেষ হয়েছে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশের ওষুধশিল্পের নিজস্ব এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডিয়েন্ট) না থাকায় ব্যবহৃত এপিআই-এর প্রায় ৯৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আমদানিনির্ভর কাঁচামালের ওপর ভিত্তি করে আমাদের ওষুধশিল্প টেকসই হবে না।’
তিনি বলেন, ‘এলডিসি হতে উত্তরণের কারণে ওষুধ শিল্পখাতে বিদ্যমান (দ্য অ্যাগ্রিমেন্ট অন ট্রেড রিলেটেড আসপেন্টস অব ইনটিলেকচুয়েল প্রোপার্টি রাইটস্) ওয়েভার সুবিধার পরিসমাপ্তিতে আগামীতে ওষুধের মূল্য বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য দেশীয়ভাবে ওষুধশিল্পের কাঁচামাল উৎপাদন করা আবশ্যক।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রেক্ষাপটে এপিআই খাতে টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, রফতানি বহুমুখীকরণ এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে ‘জাতীয় এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক (রি-এজেন্ট) উৎপাদন ও রফতানি নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।’