নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে যৌন নির্যাতন, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মাঈনুদ্দিন সাহেদ নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। বুধবার (৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে একলাশপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়া আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে মাঈনুদ্দিন সাহেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২ সেপ্টেম্বর রাতে বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও আবদুর রহিম। ঘটনার ৩২ দিন পর রবিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় রবিবার রাতেই দুটি মামলা হয়েছে। মামলার দুই আসামি স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ এবং তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর এলাকার পুলিশ ফাঁড়ির গলি থেকে নির্যাতন মামলার সহযোগী আসামি বাদলকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১ এর সদস্যরা। অস্ত্র মামলায় দেলোয়ার পুলিশের রিমান্ডে রয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার একলাশপুর ইউনিয়নের খালপাড় এলাকায় ওই নারীকে বিবস্ত্র করে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। এতে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও আবদুর রহিমসহ পাঁচ জন অংশ নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার ৩২ দিন পর গত ৪ অক্টোবর (রবিবার) দুপুরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়। ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, নির্যাতনকারীরা ওই গৃহবধূর পোশাক কেড়ে নিয়ে বিবস্ত্র করে তাকে কিছু বলতে থাকে। ওই নারী নিজেকে রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালান এবং হামলাকারীদের ‘বাবা’ বলেও ডাকেন। এক পর্যায়ে তাদের পায়েও ধরেন। কিন্তু তারা ভিডিও ধারণ বন্ধ করেনি।
বরং হামলাকারীদের একজন তার মুখমণ্ডলে লাথি মারে ও পা দিয়ে মুখসহ শরীর মাড়িয়ে দেয়। এরপর একটা লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করতে থাকে। এ সময় ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার উল্লাস প্রকাশ করে ‘ফেসবুক’ ‘ফেসবুক’ বলে চেঁচায় তাদের মধ্যে আরেকজন।