1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : বরিশাল ব্যুরো প্রধান : বরিশাল ব্যুরো প্রধান
  3. [email protected] : cmlbru :
  4. [email protected] : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান : চট্রগ্রাম ব্যুরো প্রধান
  5. [email protected] : ঢাকা ব্যুরো প্রধান : ঢাকা ব্যুরো প্রধান
  6. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টারঃ : স্টাফ রিপোর্টারঃ
  7. [email protected] : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান : ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান
  8. [email protected] : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান : সম্রাট শাহ খুলনা ব্যুরো প্রধান
  9. [email protected] : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান : ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান
  10. [email protected] : আমজাদ হোসেন রাজশাহী ব্যুরো প্রধান : রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
  11. [email protected] : রংপুর ব্যুরো প্রধান : রংপুর ব্যুরো প্রধান
  12. [email protected] : রুবেল আহমেদ : রুবেল আহমেদ
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

পরকীয়া প্রেমিক ও দ্বীতিয় স্বামীর সন্তান সহ তৃতীয় স্বামীর হাতে খুন হলেন কুষ্টিয়ার আসমা

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

স্ত্রী আসমা খাতুন ‘পরকীয়া প্রেমে’ জড়ানোয় তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়। সেই ক্ষোভ থেকেই আসমা (৩০), তার পরকীয়া প্রেমিক শাকিল খান (২৫) ও সৎ ছেলে রবিনকে (৭) গুলি করে হত্যা করেন সৌমেন। রিভলভারসহ আটক হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এমন দাবিই করেছেন।

রোববার (১৩ জুন) বিকেলে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।

এর আগে, সৌমেন রায় আজ রোববার ভোরেই বাসে করে খুলনা থেকে কুষ্টিয়ায় আসেন। এ সময় তিনি তাঁর সরকারি পিস্তল ও দুটি ম্যাগাজিনে ১২টি গুলি সঙ্গে নিয়ে আসেন। এরপর কথা–কাটাকাটি থেকে একে একে তিনজনকে গুলি করেন। বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কাস্টমস মোড়ে তিনতলা একটি ভবনের সামনে আসমা চার বছরের ছেলে শিশুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় সেখানে এক তার সাথ ছিলেন নিহত শাকিল। হঠাৎ এএসআই সৌমেন প্রথমে আসমার মাথায় গুলি করেন। এরপর পাশে থাকা যুবক শাকিলের মাথায় গুলি করেন। ভয়ে শিশু রবিন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকেও ধরে মাথায় গুলি করা হয়। আশপাশের লোকজন গুলি সৌমেনকে ধরতে গেলে তিনি দৌড়ে তিনতলা ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন। এরপর লোকজন জড়ো হয়ে ওই ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নারীকে মৃত ঘোষণা করেন। অস্ত্রোপচারকক্ষে গুলিবিদ্ধ পুরুষ ও শিশুর মৃত্যু হয়। বিকেলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত তিনজনের মরদেহ নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৌমেন জানিয়েছেন, আসমা খাতুনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরেই তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এ ব্যাপারে এখনো তদন্ত চলছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’

বিকেলে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা সৌমেনের ব্যক্তিগত সমস্যা। পারিবারিক কলহের জেরে সৌমেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। কারও ব্যক্তিগত অপকর্মের দায় পুলিশ বিভাগ বহন করবে না। এ ঘটনায় কোনো ছাড় দেয়া হবে না। দোষীকে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেতে হবে।’

নিহত আসমা কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের নাতুড়িয়া গ্রামের আমির আলী মেয়ে। তার বিষয়ে বাগুলাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বক্কর জানান, ১২-১৩ বছর আগে কুমারখালী উপজেলার ভড়ুয়াপাড়া গ্রামের ওয়াজ আলীর ছেলে সুজনের সঙ্গে আসমা খাতুনের প্রথম বিয়ে হয়। সেখানে তার একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর যেতে না যেতেই কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের সরোয়ারের ছেলে রুবেলের সঙ্গে আসমার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরকীয়ার এই সম্পর্কের জেরে প্রথম স্বামী সুজনকে ডিভোর্স দিয়ে রুবেলকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন আসমা খাতুন। দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে এক ছেলেসন্তানের জন্ম দেন আসমা। যার নাম রবিন।

তিনি আরও জানান, দ্বিতীয় স্বামী রুবেলের সঙ্গেও বেশিদিন সংসার করা হয়নি আসমা খাতুনের। বনিবনা না হওয়ায় কয়েক বছর সংসার করার পরই রুবেলকে ডিভোর্স দেন তিনি।

অন্যদিকে সৌমেন রায়ের বাড়ি মাগুরার শালিকা উপজেলার কসবা গ্রামে। তিনি এএসআই হিসেবে ২০১৬ সালের ১৩ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় যোগদান করেন। এরপর কোনো একটি মামলার তদন্তে আসমার বাড়িতে যান তিনি। সেখান থেকেই তাদের পরিচয় এবং এক পর্যায়ে তাদের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সৌমেন রায়ের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারটি স্থানীয়দের কাছে স্পষ্ট না হলেও তাদের চলাফেরা ও যোগাযোগের বিষয়টি অনেকেই জানতেন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আসমার মা হাসিনা খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, রোববার সকালে সৌমেন আসমা এবং নাতি রবিনকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে তারা এই হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পারেন।

নিহত আসমার ছোট ভাই হাসান জানান, তার বোনের এর আগে দুটি বিয়ে হয়েছিল। ভাগনে রবিন বোনের দ্বিতীয় স্বামী রুবেলের সন্তান। পাঁচ বছর আগে এএসআই সৌমেনের সঙ্গে তার বোন আসমার তৃতীয় বিয়ে হয়। আসমা খাতুন এএসআই সৌমেনের দ্বিতীয় স্ত্রী। সৌমেনের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে। তারা খুলনায় থাকেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৌমেনের সঙ্গে বিয়ের পর শাকিলের সঙ্গে আসমা পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। নিহত শাকিল চাপড়া ইউনিয়নের সাওতা কারিগর পাড়ার মজিবারের ছেলে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরেই শাকিলের সঙ্গে আসমার পরকীয়া চলছিল। সম্প্রতি সৌমেন কুষ্টিয়ার হালসা পুলিশ ক্যাম্প থেকে খুলনার ফুলতলা থানায় বদলি হলে শাকিল আর আসমা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। শাকিলের সঙ্গে আসমার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে সৌমেন চরম ক্ষুব্ধ হন। এ নিয়ে তিনি আসমাকে বেশ কয়েকবার শারীরিক নির্যাতনও করেন।

শাকিলের মা জানান, মাস দুয়েক আগে এক পুলিশ কর্মকর্তা অস্ত্র মাজায় করে তাদের বাড়িতে এসে বলেন, শাকিল তার বউয়ের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন। যদি কথা বলা বন্ধ না করেন, তাহলে খবর আছে বলে শাসিয়ে যান।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় থানায় এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

Facebook Comments
২৩ views

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২২ দৈনিক শিরোমনি