হাফিজুররহমান কুষ্টিয়াজেলাপ্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্যে তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায়ঘাতকখুনিপুলিশের সহকারীউপ-পরিদর্শক (এএসআই) সৌমেনকে আটক করেছে পুলিশ।রোববার (১৩ জুন) বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রকাশ্যেদিবালোকে কাস্টমস মোড় এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন- শাকিল (২৮), আসমা (২৫) এবংরবিন (৫)। তাদের মধ্যে শাকিল বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন সেলস অফিসার পদে (ডিএসও) চাকরি করতেন। শাকিল কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শাওতা গ্রামের মেসবাহ আলীর ছেলে। আসমার বাড়ি একই এলাকায়। রবিন আসমার ছেলে।তারাখুনি এএসআই সৌমেনের স্ত্রী ও সন্তান।আটক সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন।শাকিলের সহকর্মী জাফরবলেন, শাকিলের বাড়ি ও আমার বাড়ি কুমারখালীর শাওতা গ্রামে। সকালে অফিস থেকে বের হয়ে আমরা মার্কেটে যাই। তারপর জানতে পারি শাকিল খুন হয়েছে।পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সোয়া ১১টার দিকে শহরের কাস্টমস মোড় এলাকায় প্রকাশ্যে শাকিল, আসমা এবং রবিনকেগুলি করে সৌমেন। এ সময় স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাকিল ও রবিন মারা যান। এবং ঘটনাস্থলে মারা যান আসমা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান এবং অভিযুক্ত সৌমেনকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করেন। নিহতদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শাকিলের সঙ্গে আসমার অনৈতিক সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় সৌমেন এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়।কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার বলেন, আসমাকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্তকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক করা হয়েছে।