কানাইঘাট প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সোনাতনপুঞ্জি গ্রামে রুহুল আমিন(২৫) নামে এক শারিরীক প্রতিবন্ধীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।আজ সোমবার দুপুরের দিকে একটি উচু টিলার উপর থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাড় কাটা অবস্থায় সোনাতন পুঞ্জি গ্রামের মৃত মকবুল আলীর পুত্র রুহুল আমিনের লাশ উদ্ধার করে কানাইঘাট থানা পুলিশ। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,সোনাতন পুঞ্জি গ্রামের মৃত ইছরাক আলীর পুত্র সামছুল হক(৪৮) সাথে একই গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদের পুত্র আব্দুল মান্নান গংদের মধ্যে টিলাবেষ্ঠিত সরকারি খাস খতিয়ানে অবস্থিত বেশ কয়েক একর ফসলাধি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে থানায় ও আদালতে পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে। স্থানীয়রা জানান,গতকাল রবিবার রাতে নিহত প্রতিবন্ধী রুহুল আমিন তার চাচা সামছুল হকের বাড়িতে গিয়েছিল। আজ সোমবার অনুমান সকাল ৮টার দিকে সামছুল হক এলাকায় চাউর করেন তার ছেলে ফখরুল আহমদকে সাথে রুহুল আমিন বাড়ির পাশে উচু একটি টিলায় কাঠাল পাড়তে যায়। এসময় উক্ত টিলার উপর বসবাসরত নজরুল ইসলাম সহ তার পরিবারে লোকজন তার ছেলে ফখরুল ও রুহুল আমিনের উপর হামলা করে। প্রাণ রক্ষার্থে তার ছেলে ফখরুল ইসলাম টিলার নিচে নেমে আসে। এরপর থেকে তার ভাতিজা রুহুল আমিনকে খোঁজে পাচ্ছেন না তিনি। একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন খোঁজাখোঁজি করে শারিরীক প্রতিবন্ধী রুহুল আমিনের ঘাড় কাটা রক্তাক্ত লাশ টিলার এক পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তাৎক্ষণিক থানার সেকেন্ড অফিসার রঞ্জিত দাস একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। এ হত্যাকান্ড নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবন্ধী রুহুল আমিনকে আসলে কারা হত্যা করেছে তা নিয়ে এলাকায় চলছে কানাঘোষা। তবে নিহতের বৃদ্ধ অসুস্থ মা সহ বোনেরা জানিয়েছেন, রহুল আমিন একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী, তাঁর এক পা খাট ও বিকলাঙ্গ। সে স¦াভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারেনা। বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকেনা। গত রবিবার রাত্রে চাচা সামছুল হকের বাড়িতে সে যায়,এবং ঐদিন বাড়িতে ফিরেনি। পরদিন তার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা। যেখান থেকে রুহুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তা চাচা সামছুল হকের বাড়ির পাশের এক হাজার ফুট উচু একটি টিলা থেকে। বিশাল এ টিলার দখল নিয়ে সামছুল হকের সাথে আব্দুল মান্নানের পরিবারের সদস্যদের বিরোধ রয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে সামছুল হক বা যে টিলার উপর থেকে রুহুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে বসবাসরত নজরুল ইসলামকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। তবে জানা গেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সামসুল হককে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে এসছে। কিন্তু তার আটকের বিষয়টি স্বীকার করছেনা পুলিশ। থানার সেকেন্ড অফিসার রঞ্জিত দাস জানিয়েছেন,নিহতের লাশ তারা উদ্ধার করেছেন এবং ময়না তদন্তের জন্য সিলেট মর্গে প্রেরণ করবেন। কারা রুহুল আমিনকে হত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখছেন। অনেক তথ্য পেয়েছেন,শিগগির খুনীদের আটক করতে সক্ষম হবেন তারা। খুনীরা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।