ইমরান শেখ গোপালগঞ্জ, কাশিয়ানী প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় অবস্থিত কাশিয়ানীবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত ও আকাঙ্খার স্বাস্থ্য শিক্ষার দ্বার ইন্সটিটিউট অব হেল্থ টেকনোলজি (আই.এইচ.টি)। অবকাঠামো নির্মান কাজ সমাপ্ত হওয়া এ প্রতিষ্ঠানটির প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। কাশিয়ানী উপজেলায় সরকারের এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ব্যাপক অর্থায়নের প্রয়োজন হয়েছে কিন্তু এই বিশাল অর্থযজ্ঞ এর সুফল এখন পর্যন্ত দেশের মানুষের নিকট পৌছেনি।২০২০ইং সালের জানুয়ারী মাসে প্রতিষ্ঠানটিতে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন জনাব ডাঃ তরুন মন্ডল, প্রাক্তন সিলিভ সার্জন, গোপালগঞ্জ, ও ডিডি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা। তিনি জানান, ডিরেক্টর, মেডিকেল এডমিন এর অনুমতিক্রমে ১০৩ জন শিক্ষার্থীর ভর্তির প্রস্তাবনা পাশ হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ২০১৯-২০ শিক্ষা বছরে দুটি বিভাগ, সার্জারি ও ল্যাবরেটরী মেডিসিন বিষয়ে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হয়। এ ভর্তি প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে কিন্তু করোনা মহামারির কারনে সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী দু এক মাসের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বর্তমান অধ্যক্ষ।প্রতিষ্ঠানটিতে একজন অধ্যক্ষ ছাড়া আর কোন শিক্ষক কর্মচারীর নিয়োগের কোন অনুমোদন না হওয়ায় বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি জনবল শুন্য অবস্থায় রয়েছে। ফলে জনগণের স্বাস্থ সেবার উন্নয়নের জন্য নির্মিত এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়ে আছে। কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী গার্ডকে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ প্রতিনিয়ত পাহারা দিয়ে রেখেছেন সরকারের এই বৃহৎ জনস্বার্থের স্বাস্থ্যর সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানটি। তবে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় দিবস, যেমন- ১৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস নিজ উদ্যোগে পালন করেন অধ্যক্ষ।স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব ফারুক খান প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি তিনি সংসদ ও মন্ত্রনালয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করেন বলেও জানান বর্তমান অধ্যক্ষ।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বর্তমানে দুটি বিভাগ চালুর অনুমোদন পেলেও ভবিষ্যতে প্যাথোলোজি, এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাফী সহ মোট ৭-৮ টি বিভাগ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। দুটি হোস্টেল থাকায় প্রায় ৫০০ শত শিক্ষার্থীর থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা থাকছে এ প্রতিষ্ঠানটিতে। ।যেসকল শিক্ষার্থীরা এখান থেকে শিক্ষা গ্রহন করে দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার আকাঙ্খা করেছিল তাদের স্বপ্নও আজ অধরা হয়ে রয়েছে। কিন্তু আজ করোনা পরিস্থিতির একের পর এক ঢেউ এখানে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ভঙ্গের প্রধান কারন হয়ে দাড়িয়েছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার এই করোনাকালীন সময় পেরিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য শিক্ষা গ্রহনকারী শিক্ষার্থীদের পদচারনায় মূখরিত হবে এই প্রত্যাশায় দিন কাটছে প্রতিষ্ঠানের কর্নধার জনাব ডাঃ তরুন মন্ডল এর। এ বিষয়ে প্রশাসন ও স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের ইতিবাচক পদক্ষেপ কামনা করেন।
১৮ views