উজ্জ্বল কুমার দাস (কচুয়া,বাগেরহাট) প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
করোনায় ঝুঁকিপূর্ন এলাকার মধ্যে খুলনা বিভাগের অবস্থা যখন নাজুক তখন এ বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলা গুলোতেও সংক্রাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলায় বেশ কিছু দিন ধরেই করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বগতি।তবে এ জেলার কচুয়া উপজেলায় অনেক আগে থেকেই করোনা পরিক্ষা অনেকটা বন্ধছিল।ফলে এ উপজেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনার সঠিক তথ্য নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছিল।এমন অবস্থায় সোনালী ব্যাংক কচুয়া শাখার এক কর্মকর্তা করোনা পজিটিভ হলে টনক নরে স্থানীয় প্রশাসন ও জনমনে।ইতি মধ্যে কচুয়া সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।এ বিষয়ে জানাযায় নমুনা নেওয়া পর গতকাল ২২ জুন মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানানো হয়েছে ৮জনের মধ্যে র্যাপিড এন্টিজেন্ট টেস্টে দুইজনের করোনা সনাক্ত হয়েছে।সব মিলিয়ে কচুয়া সোনালী ব্যাংকে ১০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে ৮ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।এর ফলে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে শুধুমাত্র সরকারী লেনদেন চলমান রয়েছে বাকি সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আরএমও)ডা.মনি শংকর পাইকের তথ্য মতে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ১ জন সেবিকা সহ ২ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে।এর ফলে এ উপজেলার করোনা পরিস্থিতি অনেকটা উদ্বেগজনক পরিস্থিতির দিকেই যাচ্ছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।তবে এখনো পর্যন্ত করোনার উপসর্গ নিয়ে বা করোনা পজিটিভ হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।তবে পরিস্থিতি যে খারাপের পথে তা সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে।সচেতন মহল সহ সাধারণ মানুষ এমন পরিস্থিতির কারণ হিসাবে সুরক্ষা উপকরণ ব্যাবহারে অনিহা এবং অসচেতনতাকেই কারণ হিসাবে দেখছেন।কেউ কেউ প্রশাসনের দুর্বলতার কথাও বলছে।যদিও গতকাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে মাস্ক ব্যাবহারে অনিহার কারনে বেশকিছু ব্যাবসায়ীকে জরিমানা করলেও এখনো পর্যন্ত মানুষের মাঝে খুব একটা সচেতনতা লক্ষ করা যায়নি।তাই এ বিষয়ে আরো সচেতনতার কথা বলছে অনেকে।