রেদোয়ান হাসান সাভার,ঢাকা প্রতিনিধি দৈনিক শিরোমণিঃ
আগামী সোমবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। এর আগের লকডাউনের পূর্বে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের স্রোত দেখা গেলেও এবার তেমন জনস্রোত দেখা যায়নি মহাসড়কটিতে।শনিবার (২৬ জুন) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বারবাড়িয়া চেকপোস্ট, কালামপুর চেকপোস্ট, ধামরাই, নবীনগর, সাভার স্ট্যান্ডে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।জানা যায়, গেল সপ্তাহে পরিবহন চলাচল সীমিত করার পর থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আমিনবাজার-কালামপুর, কালামপুর-বারবাড়িয়া পর্যন্ত দুই রুটে গাড়ি চলাচল করতে দেয়া হচ্ছিলো। রাজধানী থেকে দেশের দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে যেতে ব্যবহার হওয়া রুটটিতে এভাবেই যাতায়াত করছিলেন ঘরমুখো যাত্রীরা।শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কে জেলা ভিত্তিক গাড়িগুলো চলাচল করলেও বেশিরভাগ পরিবহনেই কম যাত্রী ছিলো। বাসস্ট্যান্ড গুলোতে অলস বসে থাকতে দেখা গেছে চালকদের। প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন চালকরা।তবে বিকেলের পর থেকে যাত্রীচাপ বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।নবীনগর বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় তুহিন ইসলাম নামে এক বাস চালকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নবীনগর থিক্যা বারবাড়িয়া পর্যন্ত গাড়ি চালাইতেছি। গত কয়দিন তাও যাত্রী পাইছি। আইজক্যা একবারেই যাত্রী নাই। হুনলাম লকডাউন দিবো। ভাবছিলাম মানুষ পামু অনেক। কিন্তু রাস্তায় মানুষ নাই।একই কথা বলেছেন আরেক চালক সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘কয়দিনের মইধ্যে আইজ্যা যাত্রী খুব কম। গার্মেন্ট ছুটি হইলে যাত্রী বাড়বো। বিকালের পর ট্রিপ পামু আরো আশা করি।এদিকে বাসস্ট্যান্ডগুলোতে অলস বসে থাকতে দেখা গেছে পরিবহন শ্রমিকদের। জানতে চাইলে ডি-লিংক পরিবহনের সভাপতি আব্দুল রতন বলেন, ‘অন্যান্যবারের তুলনায় আজকে মানুষ রাস্তায় বের হয়েছে কম। আমি নিজেও কিছু জায়গায় গিয়ে দেখেছি। গার্মেন্টস ছুটির উপর নির্ভর করবে মানুষ কি পরিমাণ এলাকা ছাড়বে। তবে আজকে সেই তুলনায় রাস্তা ফাঁকা।চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ‘সড়কে চেকপোস্টে যাত্রীবাহী বাসগুলোকে অন্য জেলায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা গাড়িও খালি করে দেয়া হচ্ছে।এবিষয়ে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএসপি) আব্দুল্লাহেল কাফি বলেন, ‘অন্যান্য দিনের মতোই চলছে গাড়ি। বাড়তি কোন যাত্রীর চাপ নেই। তবুও চেকপোস্টগুলো তৎপর রয়েছে।’
০ views