আবাসিক হল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও অনেকে অবস্থান করছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কয়েকটি হলে তল্লাশি চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রক্টরিয়াল টিম।
শনিবার রাতে এই অভিযানের সময় সলিমুল্লাহ মুসলিম হল এবং শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে তল্লাশি চালিয়ে অন্তত ছয়টি রুম সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে মাদকগ্রহণের অভিযোগে টিএসসি এলাকা থেকে পাঁচজন বহিরাগতকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দুইটি হলের সিলগালা করা ছয় রুমের মধ্যে রয়েছে- শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ৩০১, ৩০২ ও ৩০৩ নম্বর রুম এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ২৫, ২৯ ও ৩৯ নম্বর রুম।
জানা যায়, রুমগুলোতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছিলেন। অভিযানের খবর পেয়ে তারা আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, আমি নিজে অবস্থান করে দুটি হলে অভিযান চালিয়েছি। দুই হলের ছয়টি রুম সিলগালা করা হয়েছে। জহুরুল হক হলে অভিযানের খবর পেয়ে রুমে অবস্থানকারীরা পালিয়ে যায়। তবে তাদের উপস্থিতির আলামত পেয়েছি, বাতিও জ্বলছিল। আর এসএম হলে একজন শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেছে। প্রভোস্টকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, যেসব রুমে অবস্থানের আলামত পাওয়া গেছে সেগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, এই হলে কেউ অবস্থান করেনি। একজন শিক্ষার্থী তালা দেয়ায় বের হতে পারেনি। তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় হল গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। সবকিছু নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন বলেন, আবাসিক হল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের কেউ হলে অবস্থান করছে কিনা দেখতে রেড দিয়েছি। জহুরুল হক হলের ৩০১, ৩০২, ৩০৩ নম্বর রুম সিলগালা করা হয়েছে। তবে তাদের রুমে কাওকে পাওয়া যায়নি।